আধার কার্ডের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া সংযুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রতিবাদ করে বলা হয় মোদী সরকারের এই নির্দেশে ব্যক্তির গোপনীয়তা খর্ব হবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। পরে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। সেখানে বলা হয় আধার কার্ডের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্কিং সক্রান্ত সব মামলা একত্রিত করে সুপ্রিম কোর্টে তার শুনানি হোক। মঙ্গলবার সেই আবেদনে মঞ্জুর করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত সব মামলা একত্রিত করেই শোনা হবে শীর্ষ আদালতে।
মধ্যপ্রদেশ, বম্বে হাইকোর্টে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আধার লিঙ্কিং সংক্রান্ত একাধিক মামলা জমা রয়েছে। সেগুলিই এবার একত্রিত করে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ বিরোধী কাজ, ভুয়ো খবর, মানহানিকর পোস্ট, রোখার উদ্দেশে নতুন নিয়মাবলীর বিজ্ঞপ্তি যেন পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মন্দা অর্থনীতির ইঙ্গিত! এনআরইজিএ প্রকল্পে ভিড় বাড়ছে কম বয়সীদের
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল জানিয়েছিলেন মাদ্রাস হাইকোর্ট ইতিমধ্যে ১৮ বার বিষয়টি নিয়ে শুনানি করেছে। এবার এই আদালতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর অধিকার দেওয়া উচিত। জবাবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতোগি ও কপিল সিব্বল বলেছিলেন, এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। এটা দেশের নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যাপার। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে হাইকোর্ট এ বিষয়ে মত দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: মোদী-অভিজিৎ বহু প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎ, নোবেলজয়ীকে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুশারে, এইসব মামলা সংক্রান্ত সব বিষয় যেন ২০২০ সালের জানিয়ারির শেষ সপ্তাহের আগে নথিভূক্ত হয়ে যায়। এরপরই প্রধান বিচারপতি এই মামলা নির্দিষ্ট বেঞ্চের কাছে পাঠাবেন বিচারের জন্য। এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবর করে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ বিরোধী কাজ, ভুয়ো খবর, মানহানিকর পোস্ট, রোখার উদ্দেশে নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও তিন মাস সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে সরকারের তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনতা, দেশের সুরক্ষা ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে ইন্টারনেট সংক্রান্ত আইন নতুনভাবে আনতে চায় কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংশোধন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংশোধিত আইনের একটি খসড়া প্রকাশ করা হয় মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। যা পড়ে বহু মানুষ মন্তব্য করেছেন। চূড়ান্ত আইনে সে বিষয়গুলিও বিবেচনা করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখতে পারবে।
Read thee full story in English