দিল্লির প্রশাসনিক অধিকার কার হাতে থাকবে, এ প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব মিলল না বৃহস্পতিবারের সুপ্রিম রায়ে। রাজধানীর প্রশাসনিক কার্যবিধিতে নির্বাচিত সরকার ও কেন্দ্র কর্তৃক নিযুক্ত উপরাজ্যপালের ক্ষমতা বণ্টন নিয়ে এদিন দ্বিমত পোষণ করেন বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণ। দুর্নীতি দমন শাখার (এসিবি) দায়িত্ব যে কেন্দ্রের হাতেই থাকবে এ বিষয়ে সহমত পোষণ করলেও, প্রশাসনিক কার্যক্রমে ক্ষমতার বণ্টন প্রসঙ্গে ভিন্নমত হয়েছেন বিচারপতিরা। দুই বিচারপতির ভিন্নমতের জেরে এই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে, মূলত যে প্রশ্নে দীর্ঘকালের আকচাআকচি তা এদিনও অমীমাংসিত রইল।
আরও পড়ুন, এক লক্ষ টাকা দিন, এক কোণায় বসে থাকুন: নাগেশ্বরকে সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়ে আদপে ধাক্কা খেয়েছে কেজরি সরকার, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যে ৬টি বিষয় নিয়ে দিল্লি সরকার ও উপরাজ্যপালের সংঘাত তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে ৪টি বিষয়ের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের পক্ষেই গিয়েছে। স্ট্যাম্প অ্যাক্ট, ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড ও সরকারি আইনজীবী সংক্রান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেজরি সরকারের হাতে। অন্যদিকে, অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো, কমিশন অফ এনক্যোয়ারি থাকছে কেন্দ্রের হাতে। গ্রেড ১, গ্রেড ২ আমলার বদলির বিষয়টি দেখবে কেন্দ্র।
এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘কোনও স্পষ্ট দিশা মিলল না। এটা দুর্ভাগ্যজনক। দিল্লির মানুষ আবারও ভুগবেন।’’ সুপ্রিম রায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে এদিন টুইটারে সানি দেওলের ছবি ‘দামিনী’-র একটি অংশ শেয়ার করেছে কেজরির দল।
Read the full story in English