Advertisment

স্পেশাল রাজধানীর যাত্রীদের জন্য আরোগ্য সেতু বাধ্যতামূলক

মোদী সরকার এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যও এই অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যধামূলক করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্পেশাল রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। সূত্র মারফত এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। স্টেশনে পৌঁছানোর পরও যদি দেখা যায় কোনও যাত্রীর ওই অ্যাপ নেই, তাহলে তাঁর মোবাইলে তক্ষনাৎ আরোগ্য অ্যাপ ডাউলোড করে দেওয়া হবে। আজ বিকেল থেকেই লকডাউনের ৫১ দিনের মাথায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে।

Advertisment

সোমবার সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রকের টুইট করে জানায়, স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইনে এই ধরনের কোনও নির্দেশ ছিল না। পিআইবি বিবৃতিতে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি এই বিশেষ অ্যাপ ডাউলোডের পরামর্শ দিয়েছিল। মোদী সরকার এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যও এই অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যধামূলক করেছে।

পরিযায়ী সহ লকডাউনে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের ঘরে ফেরাতে স্পেশাল ১৫ জোড়া ট্রেনে চালানোর কথা জানায় কেন্দ্র। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। লকডাউনে ট্রেন চলাচলের ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে 'একতরফা' বলে অভিযোগ তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকেও এই প্রসঙ্গের উত্থাপন হয়েছিল বলে জানা যায়। বেশ কয়েকটি বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ট্রেন চালানোর সমালোচনা করেন। এমনকী বিজেপির সহযোগী দল জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও মোদী সরকারের ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তকে 'ভুল' বলে জানান।

আরও পড়ুন- আজ যাত্রীবোঝাই ট্রেন ছাড়ছে স্বাভাবিক অবস্থার মতোই, সামাজিক দূরত্বের দায়িত্ব নিজের নিজের

দেশকে আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাতে আজ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন নিয়েই চালু হচ্ছে রেল পরিষেবা। তবে ট্রেন ছাড়ার আগে স্টেশনে এবং পরবর্তীতেও যাতে মেনে চলা হয় সামাজিক দূরত্বের বিধি তা সোমবারই যাত্রীদের জানিয় দিয়েছে রেলমন্ত্রক। এই যাত্রার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মও জারি করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট আগে যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। রেল জানিয়েছে, ট্রেনের মধ্যে কোনও কম্বল ও চাদর দেওয়া হবে না। যাত্রীদের নিজেদের চাদর নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে রেল। যাত্রীদের নিজেদের খাবার ও পানীয় জল নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে রেল। তবে চাহিদার ভিত্তিতে ট্রেনের মধ্যে শুকনো খাবার, রেডিমেড খাবার ও বোতলজাত পানীয় জল মিলবে। সেজন্য অবশ্যই টাকা দিতে হবে।

এদিকে সোমবার রেলের ওয়েবসাইট খুলতেই ২০ মিনিটের মধ্যে হাওড়া-নিউদিল্লি যাওয়ার সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। এমনকি আগামী পাঁচ দিনের টিকিটও সব বুকিং হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। রেলের মুখপাত্র বলেন, “সোমবার রাত ৯.১৫-এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার পিএনআর তৈরি হয়েছে। ৫৪ হাজার প্যাসেঞ্জারের রিজার্ভেশনও হয়ে গিয়েছে।”

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

indian railway Lockdown
Advertisment