Bangladesh Power Cut: বাংলাদেশকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত 'আল্টিমেটাম'! 'টাকা দাও, বিদ্যুৎ নাও' সাফ কথা ভারতের। বকেয়া বিল পরিশোধে দেরি, যার কারণে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদানি পাওয়ার। কোম্পানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে ৭ নভেম্ব সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এরপরও বকেয়া নিষ্পত্তির বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। আদানি পাওয়ারের মতে, বাংলাদেশের বকেয়ায় পরিমাণ $850 মিলিয়ন (প্রায় ৭২০০ কোটি টাকা)। বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়েছে আদানি পাওয়ার।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট। বিপূল পরিমাণ বকেয়া বাকি থাকার কারণে বাংলাদেশ মোট প্রয়োজনের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি পাওয়ার। যার ফলেই বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যুৎ সংকট। 'ডেইলি স্টার'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি-র তথ্য থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের অনেক শহর অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। কারণ সেদেশে প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি চলছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আদানি পাওয়ারের প্রায় ১৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্ল্যান্ট এখন একটি ইউনিট থেকে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এ কারণেই আগে থেকেই ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে থাকা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এখন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তালিবানি কায়দায় বীভৎস অত্যাচার! কালিয়াচকের এই ঘটনা জানলে আঁতকে উঠবেন!
আদানি পাওয়ার বলেছে বাংলাদেশ যদি বকেয়া টাকা না পরিশোধ করে তাহলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে সেদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেবে। আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে পাঠায়। বকেয়া পরিশোধ না করায় এর আগে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছিল আদানি পাওয়ার। আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে প্রায় বকেয়া বাবদ প্রায় ৭,২০০কোটি দাবি করেছে।
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার অনেক আদানি্র তরফে বাংলাদেশকে চিঠি লিখে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে বলে। আদানি গ্রুপ কোম্পানি ২৭ অক্টোবর চিঠিতে উল্লেখ করে যে যদি বকেয়া বিল পরিশোধ না করা হয়, তাহলে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির অধীনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে সংস্থা। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার পর ৩১ অক্টোবর আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।