Kaliachak Incident: তালিবানি কায়দায় বীভৎস অত্যাচার! কালিয়াচকের এই ঘটনা জানলে আঁতকে উঠবেন!
Kaliachak Incident: নৃশংস ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পুলিশকেও আক্রমণ করে জনতা। থানার আইসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় জখম বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
Kaliachak Incident: নৃশংস ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পুলিশকেও আক্রমণ করে জনতা। থানার আইসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় জখম বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
Kaliachak Incident: পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তালিবানি কায়দায় এক যুগলকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে গণপিটুনি। মালদার কালিয়াচকের শেরপুর গ্রামের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত ওই যুগলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। পুলিশকেও উত্তেজিত জনতার হামলার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। এমনকী কালিয়াচক থানার IC-র গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপরেই মালদা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। তারপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই যুগলের উপর অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
Advertisment
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপুর গ্রামের এক যুগলকে আমবাগানে দেখতে পেয়ে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ তোলে স্থানীয় কিছু মানুষ। এরপরই তাদের 'আটক' করে গ্রামবাসীদের একাংশ। আমবাগান থেকে রাস্তায় তুলে এনে যুগলকে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। সালিসি সভাও বসে। তারপর 'শাস্তি' স্বরূপ ওই যুগলকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্মম অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রাতেই জালালপুরের শেরপুর গ্রামে ছুটে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। ওই যুগলকে উদ্ধার করতে বাধা দেয় উত্তেজিত জনতা। জনতা-পুলিশ বচসা শুরু হয়।
হঠাৎ বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশকর্মীদেরও মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী, ভাঙচুর করা হয় আইসির গাড়ি। অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের ওপর লাঠি-ইঁট, পাথর নিয়ে হামলা চালানো হয়। ইঁট ও লাঠির আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পাল্টা লাঠিচার্জ করে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই যুগলকে উদ্ধার করে কালিয়াচক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে।
নিগৃহীতা মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ব্যাঙ্কের শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। তখনই ওই যুবকের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়। ওই যুবক পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তিনি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদের মারধর শুরু করে দেয়।
কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, ওই যুগলকে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ শেরপুর এলাকায় যায়। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করতেই পুলিশের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন। তাদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র-সহ ইট,পাথর ও লাঠি ছিল। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন এক পুলিশকর্মী। স্বতপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।