রামমন্দির নির্মাণের দ্বিতীয় ধাপে শিলান্যাস করলেন যোগী আদিত্যনাথ। শিল্যান্যাসের পর বুধবার তিনি জানান, 'রাষ্ট্র মন্দির' তৈরি হবে। যা তৈরির কাজ চলবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। শিলান্যাস উপলক্ষে বিশেষ 'শিলা পূজা'-র আয়োজন করা হয়েছিল। যোগী এই মন্দিরকে 'মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক' বলে তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। রীতিমতো মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে এই পুজোয় উপস্থিত ছিলেন রামমন্দির ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা, ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য-সহ অন্যান্যরা। আদিত্যনাথ বলেন, 'এই মন্দির জনগণের বিশ্বাসের প্রতীক। এটা রাষ্ট্র মন্দির হয়ে উঠবে। আর, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এর কাজ চলবে। পুণ্যার্থীদের ৫০০ বছরের পুরোনো তর্পণের অবসান ঘটবে। আর, আমরা এখানে একটি মন্দির পাব।' এর আগে মৌর্য জানান, রামমন্দির তৈরির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ শুরু হবে। মৌর্য বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাম জন্মভূমিতে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আজকে গর্ভগৃহে দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস রাম ভক্তদের কাছে এক বড় খুশির ঘটনা।'
উত্তরপ্রদেশে রামমন্দির নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। মন্দির নির্মাণের দাবিতে হিন্দুত্ববাদীরা দিনের পর দিন আন্দোলন করছেন। করসেবা চলেছে। যার সূত্র ধরে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। সঙ্গে, এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মামলা চলেছে। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মন্দির তৈরির অনুমতি মিলেছে। মন্দির নির্মাণের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নদীর জল নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি রাম নাম খোদাই করা ইট নিয়ে আসা হয়েছে। যা দিয়ে তৈরি হয়েছে মন্দিরের প্রথম পর্যায়। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে গেল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ফের জয়ী হয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফের বসেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরেরও মহন্ত। এই গোরক্ষনাথ মন্দিরের আগের মহন্তরাই রামমন্দির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখে আদিত্যনাথ চান যত দ্রুত সম্ভব রামমন্দির নির্মাণের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ করাতে।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটের কাছে বসছে নেতাজির মূর্তি, ছোট সংস্করণ মোদীকে দিলেন যোগীরাজ
রামমন্দিরের পাশাপাশি কাশী ও মথুরা নিয়েও আন্দোলন করতে চেয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদীরা। তার মধ্যে জ্ঞানবাপী মন্দির নিয়ে আন্দোলন ইতিমধ্যেই আদালতে পৌঁছে গিয়েছে। বিজেপি অবশ্য বর্তমান সময়ে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনে জোর দিতে চাইছে না। কারণ, বছর দুয়েক পরেই লোকসভা নির্বাচন। হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের জেরে, মুসলিম ভোটাররা বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারে। সেই কারণে উন্নয়নকে সামনে রেখেই নির্বাচনে যেতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই বলে রামমন্দিরের নির্মাণকাজ যাতে বন্ধ না-থাকে, সেই ব্যাপারে তত্পর গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই মন্দিরের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।
Read full story in English