প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭২ তম জন্মদিন উপলক্ষে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য শনিবার গুজরাটে মোদীর জন্মস্থান থেকে থেকে ৪০ জন যক্ষ্মা (টিবি) রোগীকে দত্তক নিয়েছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় একথা জানিয়ে লেখেন, "আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে, আমি মোদীর জন্মস্থান থেকে ৪০ জন টিবি রোগীকে দত্তক নিয়েছি। আসুন আমরা সবাই মোদীজির এই মানব সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করি, এবং যক্ষ্মা মুক্ত ভারত গড়ি। আপনাদের সকলের এভাবে টিবি রোগীদের দত্তক নেওয়া উচিত। তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ “।
দেশব্যাপী 'রক্তদান অমৃত মহোৎসব'-এর অংশ হিসাবে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । টিবি মুক্ত ভারত অভিযানে মোদী আহ্বানে সামিল হতে ভারতীয় শিল্প কনফেডারেশন (CII) ৩৫,০০০ এরও বেশি যক্ষ্মা (টিবি) রোগীকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক টুইটে সিআইআইয়ের তরফে জানান হয়েছে, "টিবি মুক্ত ভারত গড়ায় সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে সিআইআই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে”।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যক্ষ্মা (টিবি) মুক্ত ভারত গড়তে আগামী এক বছরব্যাপী কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অধীনে প্রত্যেকে একজন যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নেবে এবং এক বছরের জন্য তার যত্ন নেবে।
বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, এক বছরের জন্য একজন যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনাটি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য সংগঠিত হয়েছে৷ বিজেপি নেতা এবং কর্মীরা এক বছরের জন্য একজন করে রোগীকে দত্তক নেবেন এবং তাদের স্বাস্থ্যর নিয়মিত পরীক্ষা করবেন৷ এবং উপযুক্ত পরিষেবা প্রদান করবেন।
উন্নত ভারত গড়তে ২০৩০ সালের পাঁচ বছর আগে টিবি নির্মূল করার লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু্র উদ্বোধন করা 'প্রধানমন্ত্রী-টিবি মুক্ত ভারত অভিযান'-এর অধীনে ৯.৫ লক্ষেরও বেশি যক্ষ্মা (টিবি) রোগীদের দত্তক নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন যে নিক্ষয় পোর্টালের অধীনে ১৫ হাজারের বেশি আবেদন রেজিস্টার করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্যক্তি, সংস্থা, শিল্প এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সরকারী তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট সহ মোট ১৩,৫৩,৪৪৩ টিবি রোগীর মধ্যে ৯.৫৭ লক্ষ রোগীকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন পর্যন্ত সমস্ত সম্মত টিবি রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: < হিজাবে না! পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু তরুণীর, রাস্তায় নেমে আন্দোলন, উত্তাল ইরান >
রোগীর যারা দত্তক নিয়ে ইচ্ছুক তাদের মধ্যে স্টেকহোল্ডার, নির্বাচিত প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে কর্পোরেট, এনজিও, প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি যক্ষ্মা রোগীর জন্য তিন কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, ২৫০ গ্রাম উদ্ভিজ্জ তেল এবং এক কেজি গুঁড়ো দুধ বা ৬ লিটার দুধ বা এক কেজি চিনাবাদাম সহ মাসিক খাবারের সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারী সূত্রের তথ্য অনুসারে, এই কর্মসূচীতে ৩০টি পর্যন্ত ডিমও যোগ করা হতে পারে।
এই বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ টিবি রোগীর বয়স ১৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। একজন যক্ষ্মা রোগীকে অতিরিক্ত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতির ন্যূনতম সময়কাল হবে এক বছর। তবে এটি দুই বা তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই কর্মসূচির অধীনে ওড়িশার চারটি জেলার সমস্ত যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নিয়েছেন’।