শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যায় মুল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালাকে বৃহস্পতিবার ৬-৭ ঘন্টার পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কীভাবে এই অপরাধ ঘটান। সূত্রের খবর অনুসারে কীভাবে তিনি খুন করেন লিভ-ইন পার্টনারকে এই প্রশ্ন ছাড়াও আফতাবকে তার শৈশব ও পরিবার নিয়ে প্রশ্ন থেকে শুরু করে আফতাব কোথায় কোথায় খুনের প্রমাণ লুকিয়ে রেখেছিলেন, এমন প্রশ্নও করা হয়।
এর আগে, পুলিশ জানিয়েছে যে তারা গত এক সপ্তাহে আফতাব এবং শ্রদ্ধার ছাতারপুর ফ্ল্যাট এবং মেহরাউলি জঙ্গল থেকে ছুরি, ব্লেড, করাত এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সহ প্রায় ১০ থেকে ১২টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। অন্যান্য রাজ্যেও তথ্য প্রমাণের জন্য অনুসন্ধান জারি রেখেছে দিল্লি পুলিশ। মুম্বাইয়ের ভাসাইতে দিল্লি পুলিশের একটি দল শ্রদ্ধা ওয়াকারের হারানো ফোনের সন্ধান করছে
পলিগ্রাফ টেস্ট শেষ হয়নি : বৃহস্পতিবার আসামি আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট শেষ করা যায়নি। ৮ ঘণ্টা পর আফতাব রোহিণীর এফএসএল ল্যাব থেকে বের হলে তিনি জানান, তার জ্বর হয়েছে, যার কারণে বৃহস্পতিবার তার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষার প্রথম সেশনের জন্য পুনাওয়ালাকে দিল্লির রোহিনীতে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে (এফএসএল) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারপরে তিনি রাত ৮টা নাগাদ পুলিশের সঙ্গে ফেহাজতে ফিরে আসেন।
ক্রাইম মোডাস অপারেন্ডি, শৈশব সম্পর্কিত প্রশ্ন: একজন এফএসএল কর্মকর্তা বলেছেন, “এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল খুনের অস্ত্র, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং শ্রদ্ধার ফোন লুকানোর জায়গা খুঁজে বের করা। আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময়, প্রধানত দম্পতির ইতিহাস, পুনাওয়ালার আগের জীবন, শৈশব, পরিবার, সম্পর্ক, তিনি শ্রদ্ধাকে কীভাবে হত্যা করেছিলেন এবং প্রমাণ লোপাট করেছিলেন সে সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি পরীক্ষায় সহযোগিতা করেছেন এবং সব উত্তর দিয়েছেন। ফলাফল বিশ্লেষণ এবং কম্পাইল করা হবে। আমরা পুলিশের সঙ্গে রিপোর্ট শেয়ার করব।”
আরও পড়ুন: < হাড়হিম করা খুনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রদ্ধা হত্যা নিয়ে কী বললেন অমিত শাহ >
আগামী সপ্তাহে নারকো টেস্ট হতে পারে: পুলিশ এর আগে জ্বরের কারণে আফতাবকে জেরা করতে পারনি। এই সপ্তাহের শুরুতে, পুলিশ আফতাব পুনাওয়াল্লার হেফাজত বাড়ানো এবং তার উপর পলিগ্রাফ এবং নারকো পরীক্ষা করার জন্য দিল্লির একটি আদালতের অনুমতি চেয়েছিল। পুলিশ বলছে, সম্ভবত আগামী সপ্তাহে নারকো টেস্ট করা হবে।
উদ্ধার হওয়া ধারালো অস্ত্র সম্পর্কে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা রক্তের নমূনা পরীক্ষা করছি। আফতাব বলেছিলেন যে তিনি বাথরুমে শ্রদ্ধার দেহ ৩০-৩৫ টুকরো করতে দুই-তিনটি ছোট করাত ব্যবহার করেছিলেন। আমরা এখনও সেই অস্ত্র খুঁজে পাইনি। আমরা আফতাবের দাবি খতিয়ে দেখছি।"