প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে জড়িত নলিনী সহ ছয় আসামিকে ইতিমধ্যেই মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় নলিনী বলেন, 'আমি সন্ত্রাসবাদী নই। আমি এখন আমার পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাই। নলিনী শ্রীহরণের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।
কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, নলিনী শ্রীহরন, যিনি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জেলেবন্দী ছিলেন, চেন্নাই প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, তিনি এখন তাঁর স্বামী এবং কন্যা ডাঃ হরিত্র শ্রীহরনের সঙ্গে থাকতে চান, যিনি যুক্তরাজ্যে একজন প্র্যাকটিসিং অনকোলজিস্ট। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নলিনী বলেন, “আমি আমার পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাই। আমার মেয়েকে বড় হতে দেখিনি। আমার ভগ্নিপতি, যিনি ব্রিটেনের একজন শিক্ষক, সেই আমার মেয়েকে লালন-পালন করেছেন, বড় করেছেন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও যুক্তরাজ্যে আছেন, আমি সেখানেই আমার পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাই"।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন এবং আমি এখন তাদের সঙ্গেই থাকতে চাই। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আমার স্বামী যেখানেই যাবে, সেখানেই আমি তাকে সঙ্গ দেব। আমরা ৩২ বছর ধরে আলাদা রয়েছি। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন এখনও আমার পাশে রয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । নলিনীর এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে এবং মানুষজন ভিডিওটিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: < হত্যার পর দেহ ৩৫ টুকরো, প্রেমিকা খুনে পুলিশের জালে অভিযুক্ত প্রেমিক >
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২০০৮ সালে জেলে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার সময় বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তপ্রাপ্ত আসামিদের অন্যতম নলিনী শ্রীহরণ রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাবা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন প্রিয়াঙ্কা’। এক দশক আগে ভেলোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করার সময় হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন প্রিয়াঙ্কা।
নলিনী বলেন, প্রিয়াঙ্কার প্রশ্নের জবাবে বাবা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি যেটুকু জানতেন সবটুকুই তিনি তাঁকে জানিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১২ নভেম্বর নলিনীকে মুক্তি দেওয়া হয়। গতকালই অবসান হয় ৩১ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের। বহু আবেদন-নিবেদনের পর অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় জেল থেকে মুক্তি পেলেন রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষীসাব্যস্ত নলিনী শ্রীহরণ -সহ ৬ জন।
শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট নলিনী শ্রীহরণ-সহ এই মামলায় দোষীসাব্যস্ত ছজনকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া নলিনী শনিবার সকালে গিয়ে থানায় হাজিরা দেন। তারপর দিনভর ভেলোর জেলে থাকার পর বিকেলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পরেই তামিলনাড়ু ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ দেন তিনি।