দিন কয়েক আগেই জম্মু কাশ্মীরে নিষিদ্ধ হয়েছে মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি। ইউএপিএ বা আনল'ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্টের আওতায় কাশ্মীর উপত্যকায় এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। এবার জামাত-ই-ইসলামির অনলাইন উপস্থিতিতেও নিয়ন্ত্রণ আনার কথা ভাবছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, সোশাল মিডিয়ার মঞ্চ ব্যবহার করে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে এই গোষ্ঠী।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শিগগির jamaateislamijk.org ওয়েবসাইটটি ব্লক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে জামাতের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রিত করবে সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানালেন, "নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিচারকদের একটি দল দেখে থাকেন। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় জামাত প্রচার চালাচ্ছে বলে খবর রয়েছে। ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিএসএস) এর পক্ষ থেকে পাঁচ বছরের জন্য জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন, রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকাতেই হাফিজ সইদ, খারিজ আবেদন
বৃহস্পতিবার জামাতের টুইটার হ্যান্ডেলে তাদের সিল হওয়া দফতরের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। তাদের শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তকে টুইটারে চ্যালেঞ্জ করেছে জামাত। প্রসঙ্গত, জামাতের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ৫,৮০০ ফলোয়ার রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে ফেসবুকে 'অসাংবিধানিক' এবং 'অগণতান্ত্রিক' বলে বর্ণনা করেছ জামাত।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৭৫ সালে দু'বছরের জন্য এবং ১৯৯০ সালে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল জামাত-ই-ইসলামিকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের মদতে যে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ ঘটানো হয়, তাতে জামাতের হাত রয়েছে। "স্বাধীনতার সময়ে যে জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ সংগঠনটি তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই। ১৯৫৩ সালে এরা নিজেদের মতো সংবিধান তৈরি করে নেয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী এরা। এবং এদের কারণেই কাশ্মীরে ছড়িয়ে পড়েছে এরকম বিশ্বাস। হিজবুল মুজাহিদীন তৈরির পেছনেও এদের হাত রয়েছে।"
গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ঘেঁটে এক আধিকারিক জানালেন, "নিয়োগ, অর্থ সাহায্য, আশ্রয়, সব ব্যাপারেই হিজবুল মুজাহিদীনকে সমর্থন করে জামাত-ই-ইসলামি।"
Read the full story in English