Advertisment

স্ত্রীর পর আয়কর দফতরের নজরে এবার লাভাসার ছেলে-বোন

লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করা অভিযোগের ক্ষেত্রে মোদী এবং অমিত শাহকে নির্বাচন কমিশনের ক্লিনচিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন অশোক লাভাসা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ashoke Lavasa

অশোক লাভাসা

এবার আয়কর দফতরের নজরে নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার ছেলে ও বোন। পেশায় চিকিৎসক শকুন্তলা লাভাসাকে গত মাসেই নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। এছাড়া নোটিস পাঠানো হয়েছে নৌরিশ অর্গ্যানিক ফুড লিমিটেড নামে এক সংস্থাকে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওই সংস্থার ডিরেক্টর অশোক লাভাসার ছেলে আবীর লাভাসা। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার শেয়ার আবীরের দখলে থাকলেও সেগুলি আসলে কর্মীদের।

Advertisment

এপ্রসঙ্গে আবীর লাভাসা বলেন, 'আয়কর দফতরের নোটিস পেয়েছি। গত আগস্টেই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখেছে আয়কর দফতর। এছাড়া আর কিছুই হয়নি।' আবীরের তরফে পুরো বিষয়টির উপর স্থিগিতাদেশ চাওয়া হয় ও আয়কর দফতরকে কোনও উত্তর দেয়নি। আয়কর দফতরের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর নয়া ফরমান: যাত্রী স্বাগত, কিন্তু ভারী ব্যাগ দূর হঠো

এর আগে, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার স্ত্রী তথা প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী এন এস লাভাসার বিরুদ্ধে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, প্রায় এক মাস আগে এস এন লাভাসার কাছে আয়করের চিঠি আসে। উল্লেখ্য, অশোক লাভাসার স্ত্রী এন এস লাভাসা একজন প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী এবং তিনটি সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরও ছিলেন। উল্লেখ্য, ‘টফলার’ নামক একটি অনলাইন কর্পোরেট তথ্যপ্রদানকারী সংস্থার মতে, এন এস লাভাসা ওয়েলসপান সোলার পাঞ্জাব, ওমেক্স অটো, পাওয়ার লিঙ্কস ট্রান্সমিশনের মতো সংস্থাগুলির বোর্ড অফ ডিরেক্টর পদে বহুদিন আসীন ছিলেন। তবে,আয়কর দফতরে জমা দেওয়া নথিতে তার কোনও উলেখ ছিল না বলে খবর।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করা অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নির্বাচন কমিশনের ক্লিন চিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা।

আরও পড়ুন: ভগবত কথা: ‘মহিলাদের হয়ে যেন পুরুষরা সিদ্ধান্ত না নেয়, নারীদের ক্ষমতা রয়েছে’

এদিকে আয়করের বিষয়টি নিয়ে সোমবার এন এস লাভাসার পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমি আমার সমস্ত কর প্রদান করেছি। এমনকী পেনশন থেকে আমার যে আয় এবং অন্যান্য সমস্ত আয়ের উৎসও আয়কর আইন অনুসারে পেশ করেছি। ২৮ বছর ধরে স্টেট ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করার অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি এখনও কয়েকটি সংস্থায় স্বাধীন ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করছি। ৫ আগস্ট আয়কর দফতরের থেকে নোটিস পাওয়ার পরই তাঁদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে সমস্ত রকম সাহায্য করার কথাও জানিয়েছি।”

Read the full story in English

national news
Advertisment