সিধু মুসেওয়ালার মতো উঠতি তারকাকে যে এভাবে গ্যাংস্টাররা খুন করতে পারে, ভাবতেও পারেনি পঞ্জাব সরকার। এই ব্যাপারে ন্যূনতম গোয়েন্দা তথ্যটুকুও সরকারের কাছে ছিল না। এই খুনের পর যেভাবে ব্যর্থতার কালি আপ সরকারের কুর্তিতে লেগেছে, তা আদৌ ধোয়া যাবে কি না, খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও জানেন না। কারণ, মুসেওয়ালা খুনের পর যাবতীয় অভিযোগের আঙুল মান সরকারের দিকে ঘুরে গিয়েছে। কারণ, সম্প্রতি ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্জাবের আপ সরকার। পঞ্জাব থেকে ভিআইপি কালচার দূর করাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য।
উদ্দেশ্যটা সেদিক থেকে ভালো থাকলেও মুসেওয়ালার খুন যেন সব ওলটপালট করে দিয়েছে। তাই আর ঝুঁকি নিতে নারাজ ভগবন্ত মান সরকার। আগে সরকার ঠিক করেছিল ৪৩৪ জন ভিভিআইপির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করবে। ১১ মে নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এবার আপ সরকার জানাল, যাঁদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁদেরকেও ৭ জুনের পর নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সরকারের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ সোনি।
আরও পড়ুন- গায়ক থেকে রাজনীতিবিদ, গ্যাংস্টারের গুলির বলি, কে এই সিধু মুসেওয়ালা?
সেই মামলায় বিচারপতি রাজমোহন সিংয়ের কাছে মুখবন্ধ খামে পঞ্জাব সরকার নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে, আদালতে একথা জানালেও এনিয়ে এখনও কোনও নির্দেশনামা প্রকাশ করেনি মান সরকার। যাঁদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মান সরকার নিয়েছে, তাঁদের অভিযোগ, 'সরকার শুধু জনমুখী নীতি নেওয়ার জন্যই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। কাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে, সেই ব্যাপারে সরকার বিন্দুমাত্র খেয়ালও করেনি।'
এই পরিস্থিতিতে সিধু মুসেওয়ালা খুনে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। আম আদমি পার্টির বিধায়ক গুরপ্রীত বানাওয়ালি দাবি করেছেন, 'মুসেওয়ালাও লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। নিজের অস্ত্র থেকে আততায়ীদের লক্ষ্য করে দুটি গুলিও করেছিল। কিন্তু, তার অস্ত্রে দুটির বেশি বুলেট ছিল না।' ২৯ মে খুন হন সিধু মুসেওয়ালা। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুরবিন্দর সিং ও গুরপ্রীত সিং। তাঁরা দু'জনেই গুলিতে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের চিকিত্সা চলছে দয়ানন্দ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ওই দুই জন এখন বিপন্মুক্ত বলেই চিকিত্সকরা জানিয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই মুসেওয়ালার প্রতিরোধের চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বানাওয়ালি।
Read full story in English