এক শরীর-দুই প্রাণ, প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে সরকারি চাকরি পেলেন যমজ ভাই

জীবন সংশয়, জন্মের পর থেকে মা-বাবার অভাব, হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে অবশেষে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে দুই ভাই।

জীবন সংশয়, জন্মের পর থেকে মা-বাবার অভাব, হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে অবশেষে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে দুই ভাই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভোটাধিকার পাওয়ার পর এবার সরকারি চাকরিও জুটল পাঞ্জাবের কনজয়েনড যমজ ভাই সোহনা এবং মোহনার।

ভোটাধিকার পাওয়ার পর এবার সরকারি চাকরিও জুটল পাঞ্জাবের কনজয়েনড যমজ ভাই সোহনা এবং মোহনার। পাঞ্জাবের রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমে যমজ ভাইকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ডেন্টাল কলেজ, অমৃতসরের কাছে পাওয়ার স্টেশনে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। দুজনেরই আইটিআই ডিপ্লোমা রয়েছে বলে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

দুটো আলাদা শরীর, কিন্তু একসঙ্গে জোড়া। বিশ্বে তথা ভারতে এমন বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে। পাঞ্জাবের দুই যমজ ভাইও তাঁদের মতোই। সোহনা এবং মোহনা অমৃতসরের পিঙ্গলওয়াড়ার হোমে মানুষ হয়েছেন। তাঁদের দুটি হৃৎপিণ্ড, দুটি হাত, দুটি কিডনি এবং শিরদাঁড়া রয়েছে। কিন্তু শরীরে লিভার, গলব্লাডার একটি করে। পা-ও একজোড়া। একই শরীরে দুটি মাথা।

কিন্তু প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও পড়াশোনা থামেনি। মেধাও যথেষ্ট তাঁদের। আইটিআই ডিপ্লোমা রয়েছে তাঁদের। দুই ভাই জানিয়েছেন, আমরা পাঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পিঙ্গলওয়াড়াকেও ধন্যবাদ জানাই আমাদের মানুষ করার জন্য। দুজনেই চাকরি পেয়ে খুব খুশি। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। পিঙ্গলওয়াড়া থেকে সাপ্লাই অফিসে যাওয়ার জন্য জেলা রেড ক্রস সোসাইটি তাঁদের পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে।

কিন্তু বেতন দেওয়া হবে একজনকেই। যেহেতু তাঁদের শরীর জোড়া, তাই সোহনাকেই বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু ভোটদানের ক্ষেত্রে দুজনই ভোট দিতে পারবেন। চলতি বছরই ১৯ বছর সম্পূর্ণ হয়েছে তাঁদের। তাঁদের নাম নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। আসন্ন পাঞ্জাব নির্বাচনে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন।

Advertisment

আরও পড়ুন লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে কেন্দ্রের সাহায্য চাইল পাঞ্জাব সরকার

জন্মের সময় চিকিৎসকরা চিন্তায় ছিলেন সোহনা এবং মোহনা আদৌ বাঁচবে কি না। ২০০৩ সালের ১৪ জুন দিল্লির সুচেতা কৃপলানি হাসপাতালে জন্ম হয় তাঁদেক। কিন্তু জন্মের পর দুই শিশুকে পরিত্যাগ করে তাঁদের মা-বাবা। এর পর তাদের দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেছিলেন দুজনের শরীর আলাদা করার, কিন্তু এতে একজনের প্রাণসংশয় ছিল।

এরপর চিকিৎসকরা তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন পিঙ্গলওয়াড়াতে। সেখানে তাঁদের নাম দেওয়া হয় সোহনা এবং মোহনা। জীবন সংশয়, জন্মের পর থেকে মা-বাবার অভাব, হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে অবশেষে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে দুই ভাই। সরকারি চাকরি পেয়ে বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পেলেন তাঁরা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Conjoined Twins Amritsar