/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/rape.jpg)
প্রতীকী ছবি
নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অসম পুলিশ দারাং জেলার এক ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগে অবহেলার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। যাকে ঘিরে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। গত ১১ জুন দাররাং জেলার এসএসবি (SSB) জওয়ানের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ওই জওয়ানের বাড়িতে ওই নাবালিকা পরিচারিকার কাজ করতেন।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক এবং চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। এসএসবি জওয়ানের পাশাপাশি তার স্ত্রী’কেও এই মামলার অন্যতম আসামি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে দেখানো হলেও পরে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখায় পুলিশ। আগস্টে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে পুলিশ পুনরায় এই মামলার তদন্ত শুরু করে। পরিবারের দাবি ছিল এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশ গাছাড়া মনোভাব দেখায়।
শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আজ নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি ইতিমধ্যেই এসপি, অতিরিক্ত এসপি (দারং), থানার ওসি এবং মৃত মেয়েটির প্রথম পোস্টমর্টেমে অংশ নেওয়া তিনজন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: < মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, নিশ্চিহ্ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত দুটি বিমান, দেখুন ভিডিও >
পুলিশ সূত্রে খবর বেশ কয়েকদিন ধরেই পলাতক ছিলেন ওই সরকারি আধিকারিক। শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় ম্যাজিস্ট্রেট আশিরবাদ হাজারিকাকে। দারাংয়ের এসপি রাজ মোহন রায়, যাকে আগে এই মামলায় আগেই বরখাস্ত করা হয়, ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই আধিকারিকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সর্বশেষ তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, হত্যা, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, এবং ধর্ষণে জড়িত থাকার একাধিক তথ্য প্রমাণ মিলেছে।