ফের আন্দোলন প্রেসিডেন্সিতে। গত সোমবার ৩০০ জন প্রার্থীর রি-অ্যাডমিশনের তালিকা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবং এই রি-অ্যাডমিশনের বিরুদ্ধেই সরব হয় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। এতদিনের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোন দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারলে সেই বিষয়ে আলাদা করে পরীক্ষা দেওয়া যেত, এতে পড়ুয়াদের বছর নষ্ট হত না। তবে জানা যায়, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে এবং সর্বনিম্ন দু’টি বিষয়ে ফেল করলে পড়ুয়াদের গোটা বছরটাই নষ্ট হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ।
এর বিরোধীতায় ছাত্রছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছে রি-অ্যাডমিশনের নিয়ম তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা কেউই ইচ্ছাকৃত ফেল করে না। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই ফেল করানো হয় ছাত্রছাত্রীদের। এক্ষেত্রে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। এক ছাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, পরীক্ষা দেওয়ার সময় বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়, যেমন অনলাইন ফর্ম ভরার সময় ঠিক মতো রেজিস্ট্রেশন হয় না, অনেকসময় খাতাও হারিয়ে ফেলেন কর্তৃপক্ষ। কাজেই পরীক্ষার দিয়েও পাশ করতে পারেনা ছাত্রছাত্রীরা। অতএব সাপ্লিমেন্টারির জন্য একটা গোটা বছর নষ্ট করা নিয়ে সরব তারা।
অবস্থানে ছাত্রছাত্রীরা। এক্সপ্রেস ছবি: পার্থ পাল
তবে এদিনই শেষ পর্যন্ত দাবি মেনে নেন কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনেই রি-অ্যাডমিশন বন্ধ রাখা হবে। আন্দোলন শেষ হয়নি এখনও অবশ্য। জনা কয়েক ছাত্রছাত্রী এখনও অবস্থান চালাচ্ছে কারণ তাদের মনে হয়েছে, এই বারের জন্য এই নিয়ম রদ করা হলেও, আগামী বছরগুলিতে তা ফিরে আসবে নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য। কাজেই প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না এই গোটা নিয়মটিকে বাতিল বলে ঘোষণা করছেন ততক্ষণ তাদের এই সংখ্যালঘিষ্ঠ অবস্থান চলবে বলেই জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: এবার ডেঙ্গির থাবা মেডিক্যাল কলেজে, আক্রান্ত চার পড়ুয়া
এ তো গেল একদিক, অন্যদিকে প্রেসিডেন্সির ইডেন হিন্দু হস্টেল নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। এক ছাত্রের অভিযোগ অনুযায়ী, তিন বছর আগে হিন্দু হস্টেল সারানোর অজুহাতে ১১ মাস সময় চেয়ে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের স্থানান্তরিত করা হয় রাজাবাজার আবাসিকে। তবে তিন বছর কেটে গেলেও হস্টেলের কোনও উন্নতি দেখতে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি হস্টেলের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা আবেদন জানিয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। এখন কবে সমস্ত জটিলতা কাটে তার অপেক্ষাতেই রয়েছে প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা।