প্রশান্ত ভূষণকে ক্ষমা করা হোক, আদালতে আর্জি বেণুগোপালের

তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভূষণ এখনও পর্যন্ত ক্ষমা ভিক্ষা করেননি। এমনকী তাঁর হলফনামাতেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভূষণ এখনও পর্যন্ত ক্ষমা ভিক্ষা করেননি। এমনকী তাঁর হলফনামাতেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
প্রয়াত প্রণব॥ ফের চিনা আগ্রাসন॥ জিডিপিতে বড় ধস॥ প্রশান্তের ১ টাকা জরিমানা

প্রশান্ত ভূষণকে ১ টাকা জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের

আদালত অবমাননা মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। 'করুণার' দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরো বিষয়টিকে বিবেচনা করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভূষণ এখনও পর্যন্ত ক্ষমা ভিক্ষা করেননি। এমনকী তাঁর হলফনামাতেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

Advertisment

এদিন সর্বোচ্চ আদালতে বেণুগোপাল জানান, আদালত অবমাননার জন্য ভূষণকে 'শাস্তি' না দিয়ে যেন 'সতর্ক' করে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, 'ভূষণজি নিজে মনে করেন না যে তিনি কোনও দোষ করেছেন। তাহলে কি এজি-র আর্জি মেনে নেওয়া সঠিক কাজ হবে? প্রশান্ত ভূষণ বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট অচল হয়ে পড়েছে। এটা কি আপত্তিজনক নয়?'

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল বলেন, 'আমি মনে করি ওই টুইট তাঁর (ভূষণ) প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত।' এছাড়া তার সংযোজন, ক্ষমা চাইলেও আদালত তাকে কয়েকদিন যেন কাজ করার অনুমতি না দেয়।

Advertisment

এখনও সময় আছে, ক্ষমা চেয়ে নিন। আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রশান্ত ভূষণকে বলেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু নিজের বিতর্কিত টুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি হননি এই প্রবীণ আইনজীবী। সেই কথা সোমবার জানিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টে।

নিজের টুইটে প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের ওপর আক্রমণ করেছিলেন ভূষণ। আদালতে জমা দেওয়া লিখিত বিবৃতিতে প্রশান্ত ভূষণ জানান, যে তিনি যা বিশ্বাস করেন সেটাই টুইট করেছেন। সেটা থেকে পিছিয়ে এলে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাওয়া হবে না বলেই তিনি মনে করেন।

আগের একটি আদালত অবমানার মামলায় প্রশান্ত ভূষণের শাস্তি মুকুবের জন্য গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

এদিন প্রশান্ত ভূষণে বিরুদ্ধে ২০০৯-এর আদালত অবমাননার মামলাটি ‘যথাযথ’ বেঞ্চে পাঠানোর জন্য দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানায় বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এই মামলাটি অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই অবসরগ্রহণ করবেন বিচারপতি মিশ্র। তিনি জানান, ‘আমার কাছে সময় কম। আমি দফতর ছেড়ে দিচ্ছি। এই মামলাটি নিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন।’

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

supreme court