'অগ্নিপথ' প্রকল্পের জেরেই গোটা দেশজুরে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। কোথাও ভাঙচুর আবার কোথাও জ্বলছে আগুন। এই পরিস্থিতির কারণেই দেশজুরে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। ২৪ ঘণ্টার ভারত বন্ধ কার্যকর করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বাড়বাড়ন্ত রুখতেই প্রশাসন বেজায় তৎপর। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্ধ নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভ। বেশ কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে ট্রেন অবরোধ। হাওড়া স্টেশনেও যাত্রীরা অসুবিধের কবলে। দিল্লী এবং এলাহাবাদগামী ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন ছাড়বে দুপুর কিংবা সন্ধ্যের দিকে। চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা।
আরও পড়ুন < ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে এ কী বললেন রামদেব! শুনে হতবাক সকলেই >
দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশকেও। নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্ন থেকে। রাজ্য সরকারি এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের সামনে মোতায়েন কর হয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য থাকছে অতিরিক্ত সুরক্ষা, পিসিআর ভ্যান। মেট্রো স্টেশনের সামনে থাকছে পুলিশবাহিনী। রেল স্টেশনের বাইরেও থাকছে পুলিশি তৎপরতা।
বিক্ষোভের জেরে বিহারের নানা জায়গায় হুলুস্থুলু কাণ্ড। ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে বন্ধ রাখা হবে স্কুলও। অগ্নিপথ প্রকল্পের জেরে ৩৫ টি ওয়াটস অ্যাপ গ্রুপকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এমনকি অগ্নিপথ প্রত্যাহারের দাবি করেছে কংগ্রেসও। দেশের নানা প্রান্তে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। যুব সমাজের প্রতি এহেন আচরণ একেবারেই ঠিক নয়, এমনকি এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাহুল গান্ধী নিজেও। দিনের পর দিন চাকরির মিথ্যে প্রস্তুতি দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়েই সরব হয়েছেন সকলে। রামপুরহাট থেকে দিল্লী, সর্বত্রই প্রতিবাদী মিছিলে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।