অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত ক্রিশ্চিয়ান মিশেলর অন্তবর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধনাগারে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় শীর্ষ আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন মিশেল। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কৃষাণ কৌল ও বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে ভিডিও কমফারেন্সের মাধ্যমে মিশেলের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। বিচারপতিরা জানান, করোনা আবহে জামিনের যে মানদণ্ড নির্ধারিত হয়েছে তা মিশেলের আবেদন গ্রাহ্য হবে না।
বয়স ও জেলের পরিকাঠামোর জেরে কোভিড-১৯ আক্রন্ত হওয়া আশঙ্কা রয়েছে অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত মিশেলের। আদালতে এমনটাই দাবি করেন তার আইনজীবী আলজো কে জোসেফ। দিল্লি হাইকোর্টের জামিন খারিজের নির্দেশ প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। গত ৭ এপ্রিল মিশেলের অন্তবর্তী জামিনের আবেদন নাকট করে দেন দিল্লি হাইকোর্ট। রায়ে জানানো হয়েছিল, তিনি ব্যারাকে নেই। ধৃতকে আলাদা সেলে ২ জনের সঙ্গে রাখা হয়েছে। তাদের কারোরই কোভিড-১৯ ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন- পুলিশের সামনেই গণপিটুনিতে হত্যা, তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারির তিন মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ান মিশেল অন্যতম। বাকিরা হলেন গুইডো হাসচেকে ও কার্লো জেরোসা। মিশেলকে দুবাই থেকে ভারতে হস্তান্তরিত করা হয়। ২০১৮ সালে ২২ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে ইডি। গত বছর ৫ জানুয়ারি তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইও মিশেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ক্রিশ্চিয়ান ব্রিটেনের নাগরিক। অগাস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে টাকা নয়ছয়, ঘুষ, জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে ইউপিএ আমলে ৩,৬০০ কোটি টাকার অগাস্টা চপার কেলেঙ্কারি হয়। অভিযোগ ওঠে ইতালিতে তৈরি এই চপার ভারতকে বেচতে দুর্নীতি হয়েছে। ব্রিটেনের নাগরিক ক্রিশ্চিয়ান মিশেল এই চপার দুর্নীতির অন্যতম কুশীলব বলে ছড়িয়ে যায়। মিশল প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা পেয়েছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পকেটও ভারী হয়েছিল বলেও অভিযোগ। কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রতিরক্ষা দুর্নীতিতে বেশকিছু রাজনৈতিক নেতা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক, আমলা, বায়ুসেনার আধিকারিক জড়িত বলে অভিযোগ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন