Advertisment

পুলিশের সামনেই গণপিটুনিতে হত্যা, তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ময়ের ব্যবধান বলতে ছিল ৪৮ ঘন্টা। কার্যত আইনের রক্ষকদের নাকের সামনে দিয়েই গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হল তিন ব্যক্তিকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

একই ঘটনা, একই জায়গায়, সময়ের ব্যবধান বলতে ছিল ৪৮ ঘন্টা। কিন্তু হুঁশ ফিরল না পুলিশের। কার্যত আইনের রক্ষকদের নাকের সামনে দিয়েই গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হল তিন ব্যক্তিকে। ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে কাসা থানার অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর আনন্দরাও কালে এবং সাব ইনস্পেক্টর সুধীর কাটারেকে।

Advertisment

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার গড়চিঞ্চলে গ্রামে। লকডাউনের মধ্যেই ১৬ এপ্রিল গুজরাতে একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। এরপর তাঁদের গণপিটুনি দিতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। পুলিশ এসে তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করলেও, উত্তেজিত জনতার রোষ তাঁদের রক্ষা করতে পারেনি। ঘটনায় প্রাণ হারান কে গিরি (৭০), সুশীলগিরি মহারাজ (৩০) এবং ড্রাইভার নীলেশ (৩০)।

ঠিক কী ঘটেছে?

পুলিশ সূত্রে খবর, গড়চিঞ্চলে গ্রামের কাছে দাদরা এবং নগর হাভেলী সীমান্তে গাড়িটিকে প্রথমে দাঁড় করায় বনদফতরের কর্মীরা এবং তাঁদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন তাঁরা। এরমধ্যেই একদল জনতা সেখানে ভিড় করে এবং চোর সন্দেহে আক্রমণ চালায়। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় চার সদস্যর কাসা থানার একটি পুলিশ দল। ৪৫ মিনিট পর সেখানে পৌঁছয় আরও ১৬ জন পুলিশের দল। এরপর তাঁরা কে গিরি, সুশীলগিরি এবং নীলেশকে উদ্ধার করে গাড়িতে তুললেও পুলিশের ভ্যান থেকে তাঁদের নামিয়ে গণপিটুনি দিতে থাকে গ্রামবাসীরা।

publive-image আইনের রক্ষকদের নাকের সামনে দিয়েই গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হল তিন ব্যক্তিকে।

সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে গোটা ঘটনার। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে কে গিরি যখন বাঁচার আর্তি জানাচ্ছেন সাব ইনস্পেকটরের কাছে তখন তিনি পাশ কাটিয়ে হেঁটে বেরিয়ে যান। এমনকি ঘটনা হিংসাত্মক আকার নিতেই অনেক পুলিশকর্মীরা এলাকা ছেড়ে দৌড়ে পালাতে থাকেন। যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করে অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর আনন্দরাও কালে বলেন, "ভিডিওতে যেটা দেখানো হয়েছে তা কিছুটা দেখানো হয়েছে। আমরা প্রথমে ওই তিনজনকে উদ্ধার করি এবং পুলিশ ভ্যানে তুলি। কিন্তু সেইসময় আমাদের পুলিশের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। ৫০০ জনে সামনে ২০ জন পুলিশ কি আর লড়াই করতে পারে?"

আরও পড়ুন- ‘ভারত মুসলমানদের জন্য স্বর্গ’, ওআইসি-কে তোপ নাকভির

প্রসঙ্গত এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা আগেই কার্যত একই ঘটনার সাক্ষী ছিল গরচিঞ্চুলি গ্রাম। দু'জন ডাক্তার এবং তাঁদের ড্রাইভারকে অঙ্গ পাচারকারী এবং চোর অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা সময়। জানা গিয়েছে সেই সময় ওই গ্রামেই ছিলেন এই দুই পুলিশ কর্তা। তবে এখনও পর্যন্ত গোটা ঘটনায় ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানান গোটা ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি এবং দুই পুলিশের যুক্ত থাকার ঘটনাও এখন তদন্তাধীন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Maharashtra
Advertisment