অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে চিকিৎসায় টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে হুলস্থূল। জানা গিয়েছে প্রথম সারির এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক রোগীর অস্ত্রোপচারের জন্য ৩৪ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রথম দফায় ৩০ টাকা এবং পরের দফায় ৪ হাজার টাকা ওই চিকিৎসককে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন রোগীর বাবা। যিনি নিজেই অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন।
এই ঘটনা সামনে আসতেই ওই চিকিৎসকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয় এবং তাকে এইমস থেকে সরিয়ে ঝাজ্জরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে বদলি করা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পরে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি রিপোর্ট তলব করে।
রিপোর্টে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। গত ২৬ আগস্ট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ডাক্তার কে কে রায় অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ এসেছে তাকে কোন ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। এই বিষয়ে একাধিক সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তারপরই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেয় কমিটি। রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৪ ই সেপ্টেম্বর ওই চিকিৎসককে বদলি করা হয়।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই বিষয়ে মিডিয়ার কাছে এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না, যদিও তিনি বলেছেন যে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। একই সঙ্গে তিনি বলেন এর কোন প্রমাণ নেই’।
আরও পড়ুন : < ছাত্রমৃত্যুতে হুলস্থূল! উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, গুজব না ছড়ানোর আবেদন >
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই চিকিৎসক রোগীর বাবার কাছে অস্ত্রোপচারের জন্য ৩৪ হাজার টাকা দাবি করেন। রোগীর বাবা নিজেই ওই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর পদে কর্মরত। তিনি বলেন’ দু দফায় ওই টাকা দেওয়া হয়, তার কোন রসিদ আমাকে দেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি আমার বন্ধুবান্ধবদের জানাই, তারাই আমাকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলেন’।
টাকা নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পরই কঠোর অবস্থান নেয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে এইমসকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিপ্তে কড়া তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার কথাও জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে, এইমস কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকে তার রিপোর্ট পাঠায়।