বহু নাটকের অবসান। শেষ পর্যন্ত উদ্ধব ঠাকরেরও ডেপুটি হলেন অজিত পাওয়ার। সোমবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো। এর আগে বিজেপির ৮০ ঘন্টার সরকারেও দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সহকারী ছিলেন ছোটে পাওয়ার। অজিতের সঙ্গেই এদিন আগাড়ি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য। মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বানও।
Advertisment
মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম, পিতা-পুত্র একসঙ্গে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এনসিপি নেতা নবাব মালিক, দিলীপ ওয়ালশে পাটিল, ধনঞ্জয় মুন্ডে ও কংগ্রেসের বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার-ও মন্ত্রিসভায় হিসাবে শপথ নিয়েছেন। উদ্ধব মন্ত্রিসভায় পূর্ণ ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মোট ৩৬ জন জায়গা পেয়েছেন।
এনসিপির জীতেন্দ্র ওয়াধ শপথের পর ছত্রপতি শিবাজী, আম্বেদকর ও মহাত্মা ফুলের নাম উচ্চারণ করেন। এছাড়া, কংগ্রেসের কে সি পাদভীও শপথের পর বেশ কয়েকটি বাক্য বলেন। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি।
পাওয়ারের দলের সুরেশ মানেকে ৬৭,০০০ ভোটে হারিয়ে ওরলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় পান শিবসেনার আদিত্য। ঠাকরে পরিবার থেকেই আদিত্যই প্রথম সদস্য যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদেরে পর বহু টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে আগাড়ি জোট গঠন হয়। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে জোট। শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি ছাড়াও এই জোটকে সমর্থন করছে স্বভামানি শ্বেতকারী সংগঠন, ওয়াকার পার্টি, সমাজবাদী পার্টির মত দলগুলো। কিন্তু, মন্ত্রিসভা কলেবরে বৃদ্ধির সময় এইসব ছোট দলগুলির সঙ্গে মন্ত্রীত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
শরদ শরদ পাওয়ারের ফর্মুলা মেনে আসন সংখ্যার নিরিখে মন্ত্রিত্ব বন্টন করা হয় সেনা-কং ও এনসিপির মধ্যে। বর্তমানে, উদ্ধব মন্ত্রিসভায় শিবসেনার তরফে রয়েছে ১৪ জন মন্ত্রী। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস বা এনসিপিকে দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ। এছাড়া তাদের দখলে রয়েছে ১৬ টি মন্ত্রী পদ। স্পিকার পদটি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় তাদের সদস্য় সংখ্যা ১২।