মাস তিনেক আগে রাতারাতি অপসারিত হয়েছিলেন দায়িত্ব থেকে। গত মঙ্গলবার সিবিআই প্রধানের দায়িত্বে অলোক ভার্মাকে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত জানায় শীর্ষ আদালত। বুধবার থেকেই দায়িত্বে ফিরলেন ভার্মা।
সিবিআইয়ের এক নম্বর ও দু’নম্বর কর্তার মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের জেরে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে ভার্মাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই ডিরেক্টর পদে বহাল থাকলেও এখনই সিবিআই ডিরেক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না ভার্মা। এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি এ মামলা বিবেচনা করে দেখবে। এজন্য ৩ সদস্যের কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, ও বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন, চুরি যাওয়া হৃদয় খুঁজে দিন, পুলিশকে বললেন যুবক
শীর্ষ আদালতের ১৯৯৭ সালের রায় অনুযায়ী সিবিআই-এর ডিরেক্টর নির্বাচন করার দায়িত্বে থাকবে স্ট্যান্ডিং কমিটি। কমিটির সদস্য তিনজন, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, ও বিরোধী দলনেতা। রায় অনুযায়ী গোয়েন্দা সংস্থার কাজ তদারকি করবে কেন্দ্রীয় ভিজিলান্স কমিটি (সিভিসি)।
প্রসঙ্গত অলোক ভার্মার সিবিআই ডিরেক্টর পদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। ওই দিন চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন, মোদী সরকারের প্রস্তাবিত ১০% সংরক্ষণ কে পাবে? কেন পাবে? কীভাবে সম্ভব?
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের রায় বেরোনোর পরেই সংসদের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, “রাফাল নিয়ে তদন্ত হবেই, কেউ বাঁচাতে পারবে না মোদীকে। দেশের মানুষের কাছ থেকে ৩০০০০ কোটি টাকা নিয়ে ‘বন্ধু’ অনীল আম্বানিকে দিয়েছেন মোদী”।
অলোক ভার্মার অপসারণ প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বাম নেতৃত্বও। সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, "মোদী যেভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে মেরে ফেলতে চেয়েছেন, স্বাধীন ভারতে তেমনটা আর কেউ করেননি। ওপরের স্তরের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসার ভয় থেকেই এ সব করতে চেয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী" শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের পর পিডিপি-র সভাপতি মেহবুবা মুফতি টুইট করে জানান, “আদালতের স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় বিশ্বাস ফিরে পেলাম”।
Read the full story in English