পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে এই প্রথমবার একে অপরের মুখোমুখি হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী ১৭ নভেম্বর ভার্চুয়াল ব্রিকস সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনায়কের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে। সোমবার ১২ তম ব্রিকস সম্মেলনের দিন ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ওই মঞ্চেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্য়মে সম্ভবত অংশ নেবেন মোদী-জিনপিং।
উল্লেখ্য়, মে মাসের শুরু থেকে তেতে রয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত। একাধিক বৈঠকের পরও রফা মেলেনি। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মধ্য়েই গত ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্য়ু হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। চিনের পক্ষেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মোদী সরকার। যদিও সে বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য় দেয়নি বেজিং। এরপর গত ২৯ অগাস্টের পর আবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। ৪৫ বছর পর সীমান্তে গুলি চালানোর খবর আসে।
ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনার আবহে একাধিকবার বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনের উদ্দেশে নমো বলেছেন, ''বিস্তারবাদের দিন শেষ। ইতিহাসে প্রমাণিত যে, বিস্তারবাদীরা হয় পরাজিত হয়েছে অথবা সেই মনোভাব থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে..বীরত্ব শান্তির পূর্বশর্ত, যারা দুর্বল তারা কখনই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না''।
আরও পড়ুন: মোদীর নয়া স্লোগান ‘শাট আপ ইন্ডিয়া, হাশ আপ ইন্ডিয়া’, খোঁচা অধীরের
আবার কখনও মোদী বলেছেন, ''দেশরক্ষায় সেনারা যে পরাক্রম দেখিয়েছে তাতে গোটা বিশ্বে ভারতের শক্তি প্রমাণিত। সমগ্র ভারতবাসীর সেনার উপর আস্থা রয়েছে। সেনাদের বীরত্বই আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সংকল্প আরও দৃঢ় করছে...আপনাদের ইচ্ছাশক্তি হিমালয়ের মত দৃঢ়। গোটা দেশ আপনাদের নিয়ে গর্বিত''। চিনকে বিঁধে নমো এও বলেছেন, '' লাদাখের দিকে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছিল তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারত বন্ধুত্ব জানে, কিন্তু আক্রমণ হলে তার জবাবও দিতে পারে। ভারতমাতার ক্ষতি সেনা জওয়ানরা মেনে নেবে না''। ভারতকে দুষে পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে এসেছে বেজিং থেকেও।
এমনকি, চিনের বিরুদ্ধে রীতিমতো ডিজিট্য়াল স্ট্রাইক করে ভারত। চিনা অ্য়াপ ওয়েইবো অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেন মোদী। সংঘাতের আবহে এই প্রথমবার শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন