দীর্ঘ বিরতির পর দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই অবশেষে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ১৮ দিনের এই অধিবেশনে যদিও থাকছে না কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব। যদিও বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। করোনা আবহে সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধির কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে সংসদে। রাখা হচ্ছে সামাজিক দূরত্বও।
কী কী করোনা বিধি থাকছে?
সংসদের দুই কক্ষেই স্যানিটাইজেশন এবং সামাজিক দূরত্ব একেবারে বাধ্যতামূলক। সাংসদ, আধিকারিক কিংবা সাংবাদিক যারা সংসদে ঢুকবেন তাঁদের প্রত্যেককেই করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হতে হবে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, অধিবেশন শুরুর কমপক্ষে ৭২ ঘন্টা আগে সংসদ প্রাঙ্গণে প্রবেশকারী সকলকেই পরীক্ষা করাতে হবে।বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন লোকসভার অধিবেশন হবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। অন্য দিনগুলিতে বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা। রাজ্যসভার অধিবেশন প্রথম দিন বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং পরবর্তী দিনগুলিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বসবে।
আরও পড়ুন, সংসদ অধিবেশনের আগে ‘মেডিকেল চেকআপ’-এর জন্য ভর্তি অমিত শাহ, জানাল এইমস
আর কী কী বদল হচ্ছে?
করোনার জেরেই এবারের বাদল অধিবেশনে বদলাতে হচ্ছে সংসদের
একাধিক নিয়ম। এবারে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের পাশাপাশি এবং জিরো আওয়ার-এর জন্য ধার্য সময়েও কাটছাঁট হতে চলেছে। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে শাসক এবং বিরোধী দলের সাংসদদের মধ্যে প্রশ্নউত্তর চলে। একাধিক বিল, দেশের সমস্যাগুলি নিয়েও চলে আলোচনা। জিরো আওয়ারে সাংসদরা জনগণের গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি উত্থাপন করে থাকেন। যদিও এ বছর তা হওয়ার উপায় নেই।
যদিও বিরোধীরা চান সাম্প্রতিক একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারের কাজের হিসেব নিতে। সীমান্ত সমস্যা, করোনা, লকডাউন, দেশের অর্থনীতি, নয়া শিক্ষাব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি এবং বেশ কয়েকটি বিলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চায় প্রধান বিরোধী শিবির কংগ্রেস।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন