সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) শীঘ্রই গোটা অসম থেকে প্রত্যাহার করা হবে। মঙ্গলবার এমনই আশা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। সেখানেই তিনি একথা বলেন। ১৯৯০ সাল থেকে অসমে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন চালু আছে। ধাপে ধাপে সাতবার তার মেয়াদ বেড়েছে।
বর্তমানে অসমে বিজেপি সরকার, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর শাসনকালে অসমের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও প্রশংসা করেন শাহ। মঙ্গলবারই বিশ্বশর্মা সরকারের বর্ষপূর্তি হল। অসম পুলিশের এই অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ' মোদী সরকার আট বছর ক্ষমতায় থাকার পর, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এতটাই উন্নতি হয়েছে যে অসমের ২৩ জেলা থেকে 'আফস্পা' প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি আশাবাদী, শীঘ্রই গোটা অসম থেকে 'আফস্পা' প্রত্যাহার করা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারের ফলে একদিক থেকে সেখানে যুবশ্রেণি উন্নতির সুযোগ পাবে। তারা আগামী দিনগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে পারবে।'
আরও পড়ুন- নজরে অসম, সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য, কাল যাচ্ছেন অভিষেক
বিতর্কিত 'আফস্পা' আইনের দৌলতে গত কয়েক দশক দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনী নিরবিচ্ছিন্ন ক্ষমতা ভোগ করেছে। যার বিরুদ্ধে এই সব রাজ্যগুলোয় প্রতিবাদ তীব্র হয়েছে। দ্রুত 'আফস্পা' প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ। এমনকী, রাজ্য প্রশাসনের তরফেও 'আফস্পা' প্রত্যাহারের দাবি জোরালো হয়েছে। সেই দাবির কাছে মাথানত করেই চলতি বছরের শুরুতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্য থেকে 'আফস্পা' প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমানে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায়। এই সব রাজ্যগুলোর অন্যতম অসম। 'আফস্পা' প্রত্যাহার তাই রাজ্যগুলোর আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে শাহ জানান, অসমে ইতিমধ্যেই জঙ্গিপনা কমেছে। জঙ্গিরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। শাহ বলেন, ' সেই দিন আর বেশি দূরে নেই, যখন অসমে একটাও জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটবে না।' গোটা অসম থেকে 'আফস্পা' প্রত্যাহারের কথা বলতে গিয়ে তিনি যে সেই সময়টাইকেই বোঝাতে চেয়েছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Read story in English