সিআরপিএফ পক্ষপাতদুষ্ট। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে। গন্ডগোল দেখলেই তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই কমিশন তৃণমূল সুপ্রিমোকে নোটিস পাঠিয়েছে। এরই মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অমিত শাহ। 'হার নিশ্চিত জেনেই হতাশা থেকেই সিআরপিএফ-কে দিদি নিশানা করছেন' বলে দাবি বিজেপির 'চাণক্যে'র।
Advertisment
কী বলেছেন অমিত শাহ?
এদিন ফের বাংলায় প্রচারে এসেছেন অমিত শাহ। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। সেই সূত্রেই উঠে আসে মমতার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে শাহ বলেন, 'রিগিং রুখতে একসময় সিআরপিএফদেরই চাইতেন মমতা দিদি। কিন্তু এখন ওদের বিরুদ্ধেই বলছেন। ওনার জানার কথা যে, ভোটের কাজে মোতায়েন সিআরপিএফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে নয়। আসলে হার নিশ্চিত উনি বুঝে গিয়েছেন। তাই সিআরপিএফকে নিসানা করছেন।'
শাহর দাবি, 'গত ৩ নির্বাচনের তুলনায় এবার হিংসা সবচেয়ে কম। আর সেটাই দিদির হতাশা। বাংলায় একমাত্র রাজ্য যেখানে অতীতে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবুও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার আবেদন ভোট যেন শান্তিপূর্ণ হয়।'
বাহিনী নিয়ে মমতার মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে নোটিসে উল্লেখ করেছে কমিশন। কেন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলেন? তার ব্যাখ্যা দিতে শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে তৃণমূলনেত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার কোচবিহারের নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। বাংলার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া উচিত। সিআরপিএফের তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। আমি সিআরপিএফকে সম্মান করি। যারা সত্যিকারের সিআরপিএফ জওয়ান তাদের সম্মান করি। তবে, বিজেপির সিআরপিএফকে সম্মান করি না। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।’
এর আগে বৃহস্পতিবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। ‘বাংলাকে বিজেপি ধর্মের নামে ভাগ করে দিতে চাইছে’। এর বিরুদ্ধেই কমিশনের কাছে নালিশ করেছিলেন বিজেপি নেতা মুক্তার আবাবস নাকভি। যার প্রেক্ষিতেই এই নোটিস। এদিকে মমতাকে 'বেগম' বলায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিতকারীকেও নোটিস দিয়েছে কমিশন। এপ্রসঙ্গে অনিত শাহ বলেছেন, 'দু'জনেরই জবাব দেওয়া উচিত, যতদূর জানি শুভেন্দু জবাব দিচেছন'।
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএপিএফ-এ নারায়ণী সেনার ব্যাটেলিয়ান তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ বোর্ড হবে। কোচবিহারে প্যারামিলিটারি ট্রেনিং সেন্টার ও উত্তরবঙ্গে এইমস হবে। উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার মধ্যে রাস্তা, শিলিগুড়িতে হবে মেট্রো। তৈরি হবে চা পার্ক যেখানে চায়ের ঔষধি গুণ নিয়ে গবেষণা হবে। ৬০ বছরের বেশি কীর্তনিয়াদের মাসে ৩ হাজার টাকা। ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাঙালি কলাকার কল্যাণ বোর্ড হবে। কলকাতার উন্নয়নেও একগুচ্ছ প্রস্তাবের আশ্বাসের কথা বলা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'হার নিশ্চিত-হতাশা থেকেই CPRF-কে তোপ দিদির', মমতাকে শাহী খোঁচা
'রিগিং রুখতে একসময় সিআরপিএফদেরই চাইতেন মমতা দিদি। কিন্তু এখন ওদের বিরুদ্ধেই বলছেন। ভোটের কাজে মোতায়েন সিআরপিএফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে নয়।'
Follow Us
সিআরপিএফ পক্ষপাতদুষ্ট। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে। গন্ডগোল দেখলেই তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই কমিশন তৃণমূল সুপ্রিমোকে নোটিস পাঠিয়েছে। এরই মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অমিত শাহ। 'হার নিশ্চিত জেনেই হতাশা থেকেই সিআরপিএফ-কে দিদি নিশানা করছেন' বলে দাবি বিজেপির 'চাণক্যে'র।
কী বলেছেন অমিত শাহ?
এদিন ফের বাংলায় প্রচারে এসেছেন অমিত শাহ। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। সেই সূত্রেই উঠে আসে মমতার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে শাহ বলেন, 'রিগিং রুখতে একসময় সিআরপিএফদেরই চাইতেন মমতা দিদি। কিন্তু এখন ওদের বিরুদ্ধেই বলছেন। ওনার জানার কথা যে, ভোটের কাজে মোতায়েন সিআরপিএফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে নয়। আসলে হার নিশ্চিত উনি বুঝে গিয়েছেন। তাই সিআরপিএফকে নিসানা করছেন।'
শাহর দাবি, 'গত ৩ নির্বাচনের তুলনায় এবার হিংসা সবচেয়ে কম। আর সেটাই দিদির হতাশা। বাংলায় একমাত্র রাজ্য যেখানে অতীতে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবুও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার আবেদন ভোট যেন শান্তিপূর্ণ হয়।'
বাহিনী নিয়ে মমতার মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে নোটিসে উল্লেখ করেছে কমিশন। কেন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলেন? তার ব্যাখ্যা দিতে শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে তৃণমূলনেত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার কোচবিহারের নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। বাংলার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া উচিত। সিআরপিএফের তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। আমি সিআরপিএফকে সম্মান করি। যারা সত্যিকারের সিআরপিএফ জওয়ান তাদের সম্মান করি। তবে, বিজেপির সিআরপিএফকে সম্মান করি না। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।’
এর আগে বৃহস্পতিবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। ‘বাংলাকে বিজেপি ধর্মের নামে ভাগ করে দিতে চাইছে’। এর বিরুদ্ধেই কমিশনের কাছে নালিশ করেছিলেন বিজেপি নেতা মুক্তার আবাবস নাকভি। যার প্রেক্ষিতেই এই নোটিস। এদিকে মমতাকে 'বেগম' বলায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিতকারীকেও নোটিস দিয়েছে কমিশন। এপ্রসঙ্গে অনিত শাহ বলেছেন, 'দু'জনেরই জবাব দেওয়া উচিত, যতদূর জানি শুভেন্দু জবাব দিচেছন'।
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএপিএফ-এ নারায়ণী সেনার ব্যাটেলিয়ান তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ বোর্ড হবে। কোচবিহারে প্যারামিলিটারি ট্রেনিং সেন্টার ও উত্তরবঙ্গে এইমস হবে। উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার মধ্যে রাস্তা, শিলিগুড়িতে হবে মেট্রো। তৈরি হবে চা পার্ক যেখানে চায়ের ঔষধি গুণ নিয়ে গবেষণা হবে। ৬০ বছরের বেশি কীর্তনিয়াদের মাসে ৩ হাজার টাকা। ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাঙালি কলাকার কল্যাণ বোর্ড হবে। কলকাতার উন্নয়নেও একগুচ্ছ প্রস্তাবের আশ্বাসের কথা বলা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন