দিল্লি হিংসায় ধর্মীয় ভেদাভেদ না রেখে কাউকে রেয়াত করবে না মোদী সরকার তা লোকসভায় সাফ জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকী লোকসভা থেকেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ভোটার আই কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো ডেটাবেস ব্যবহার করে ফেসিয়াল স্ক্যানের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ৩০০ জন দাঙ্গাকারীদের চিহ্নিত করবে মোদী সরকার। লোকসভায় যৌথ সংসদীয় কমিটি দ্বারা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পরীক্ষা করা হচ্ছে সেই সময়ে দিল্লি হিংসা পরবর্তী সরকারের মনোভাব জানিয়ে দেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: যে ধর্মেরই হোক না কেন, দিল্লি হিংসায় কোনও অভিযুক্তকেই রেয়াত নয়: শাহ
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিলের খসড়ার অধীনে ফেসিয়াল ডেটাকে "সংবেদনশীল ব্যক্তিগত ডেটা" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি বি এন শ্রীকৃষ্ণ কমিটির তৈরি করা বিলের ড্রাফটে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। বর্তমানে বিলের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে কোনও অপরাধ আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কোনও সংস্থাকে এই ফেসিয়াল ডেটা প্রক্রিয়াকরণের অনুমতি দিতে পারবে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: এসবিআই-তে আর নয় ন্যূনতম ব্যালেন্স, তবে কমানো হল সেভিংসের সুদ
বুধবার লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, “সিসিটিভি এবং ভিডিও ফুটেজগুলি ২৫টি কম্পিউটারের বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আমরা সনাক্ত করতে শুরু করেছি। এই সফটওয়্যারে কোনও ধর্ম, কিংবা কোনও জাতিকে আলাদা করে দেখায় না। কেবল মুখ চিহ্নিত করবে এই সফটওয়্যারটি"। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও জানান যে ইতিমধ্যেই দিল্লি হিংসায় অংশ নিয়েছেন এম ১১০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিল্লি হিংসাকে ছড়িয়ে দিতে হাতিয়ার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়াকে এমন কথাও জানান শাহ। তিনি বলেন, "২২ ফেব্রুয়ারি সোশাল মিডিয়ায় ৬০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি বন্ধ করা হয়েছে। কেউ যদি মনে করে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা পালিয়ে বাঁচবে, সেটা হবে না। তাঁরা যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাঁদের খুঁজে বের করবই"।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন