আগে বলেছিলেন, করোনা অতিমারি শেষ হলেই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে। তার পর অতিমারির প্রভাব কমলেও দেশে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়নি। মঙ্গলবার ফের অমিত শাহ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর নিয়ে নয়া সময়ের কথা বললেন। এবার তিনি বলেছেন, বুস্টার ডোজ দেওয়া শেষ হলেই ভারতে কার্যকর হবে সিএএ।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করে নাকি শাহ আশ্বাস দিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের বিষয়ে সরকার সচেষ্ট। বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া সম্পূর্ণ হলেই এই আইন কার্যকর করা হবে। রুলিংও তৈরি হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে দেশে। সেটা সম্পূর্ণ হতে মনে করা হচ্ছে ৯ মাসের মতো সময় লাগবে। এদিন শাহের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে টুইট করে জানান শুভেন্দু। তিনি রাজ্য তথা দেশে দ্রুত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার বিষয়ে শাহের কাছে দরবার করেন। এর আগে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, আইনের রুলিং আটকে রয়েছে অতিমারি এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য।
আরও পড়ুন পার্থকে লক্ষ্য করে জুতো! ‘ওঁর টাকে লাগলে খুশি হতাম’- আক্ষেপ মহিলার
মাঝে পশ্চিবঙ্গে মতুয়া সমাজের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে নাগরিকত্ব আইন কার্যকরে দেরির জন্য। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর দলের থেকে দূরত্ব রাখতে শুরু করেন। তাঁর বিজেপি ত্যাগ নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়। তখন তড়িঘড়ি শান্তনুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও তাতে যে মতুয়া সমাজ পুরোপুরি খুশি তা বলা যাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তিন বছর অতিক্রান্ত। এরপরেও কেন কার্যকর হচ্ছে না।
বনগাঁর সংগঠন মতুয়া সমাজের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপির। সেখানে সিএএ দ্রুত কার্যকর না হলে ক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে। তা আঁচ করেই শাহের কাছে নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের জন্য দরবার করেছেন শুভেন্দু। তার পরই এই আশ্বাস দিয়েছেন মোদীর সেনাপতি।