অবশেষে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে সেই অভিশপ্ত রেলপথে ফের চাকা গড়াল ট্রেনের। রবিবার বিকেলে অমৃতসর-মানওয়ালা শাখায় ফের ট্রেন চলাচল শুরু করা হল। দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর ওই রেলপথে ট্রেন চলল। দুপুর ২টো ১৬ মিনিট নাগাদ মানাওয়ালা থেকে একটি মালগাড়ি অমৃতসর স্টেশনে এসে পৌঁছয়। এরপর আরও একটি মালগাড়ি যায় বিকেল ৪টে নাগাদ। একটি খালি ট্রেনও চালানো হয় ওই রেলপথে। আজ রাতের পর থেকেই ওই পথে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
অন্যদিকে, এ দুর্ঘটনায় ট্রেন চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন। এর জেরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। যে ঘটনায় এক পুলিশ কমান্ডো এবং এক চিত্র সাংবাদিক জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, রেলের এডিজিপি ইকবাল প্রীত সিং সাহোতা এ ঘটনার তদন্ত করবেন।
এদিকে, দশেরার সন্ধেয় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দায় এড়াচ্ছে সব মহলই। দুর্ঘটনার পিছনে চালকের যে কোনও গাফিলতি ছিল না, তা জোর দিয়ে বলা হয়েছে রেলের তরফে। দশেরা অনুষ্ঠান আয়োজকদের গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। রেলের গাফিলতিতেই এ ঘটনা বলে পাল্টা দোষারোপ করছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: পঞ্জাব জুড়ে ক্ষোভ-হাহাকারের মধ্যেই ইজরায়েলের পথে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর, সমালোচনায় বিরোধীরা
ধোবি ঘাট মাঠে দশেরা উপলক্ষে রাবণ বধের অনুষ্ঠান করার পুলিশি ছাড়পত্র মিলেছিল বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর শালিন্দর সিং শালি। এ ঘটনায় তিনি রেলের উপরই দায় চাপিয়েছেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধু বলেছেন যে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা। চালককে কেন ক্লিন চিট দিল রেল, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছেন সিধু।
দশেরার সন্ধেয় অমৃতসরের কাছে ধোবি ঘাটে রাবণ বধের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুটি ট্রেনের ধাক্কায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একজনকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়ে অমৃতসরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬২ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে।
Read the full story in English