বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জঙ্গির স্মরণসভা আয়োজন করার অভিযোগে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্ররা কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই গবেষণা করত মান্নান বাসির ওয়ানি। ওই পড়ুয়া পরে জঙ্গিদলে যোগ দেয়। উল্লেখ্য, হিজবুল মুজাহিদিন দলে যোগ দেওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওয়ানিকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোশাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে ওয়ানি জানায় যে, সে জঙ্গিদলে যোগ দিয়েছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে আলিগড় সিভিল লাইন্সের এসএইচও বিনোদ কুমার বলেন, "সাব-ইন্সপেক্টর ইশরার আহমেদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে দুই কাশ্মীরি পড়ুয়া ওয়াসিম আয়ুব মালিক ও আব্দুল হাফিজ মীরের নাম রয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় কাশ্মীরি পড়ুয়াদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, যারা ক্যাম্পাসে ওয়ানির স্মরণসভার আয়োজন করেছিল।" এফআইআর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত বৃহস্পতিবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাশ্মীরি পড়ুয়ারা ‘আজাদি, আজাদি’ বলে স্লোগান তোলে। দেশের বিরুদ্ধেও তারা স্লোগান তুলেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, প্রয়াত গঙ্গা রক্ষার অনশনকারী জি ডি আগরওয়াল
এসএইচও জানিয়েছেন যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১২৪এ, ১৫৩-এ ও ১৫৩-বি ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এসএইচও আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ক্যাম্পাসে যে সিসিটিভি রয়েছে, তার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।"
অন্যদিকে, ‘নমাজ-এ-জানাজা’ আয়োজন করার অভিযোগে শুক্রবার ন'জন কাশ্মীরি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোক্টর ও এক ডেপুটি প্রোক্টরকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল হামিদ।