এলগার পরিষদ কাণ্ডে গোয়া ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বড়েকে গ্রেফতার করেও শনিবারই মুক্তি দিল পুনে পুলিশ। এর আগে শুক্রবারই আনন্দের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় পুনের আদালত। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ মুম্বই বিমানবন্দর থেকে আনন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুনে স্পেশাল আদালতের নির্দেশ অনুসারে শনিবার সন্ধেবেলা ছেড়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক তেলতুম্বড়েকে। অধ্যাপকের আইনজীবী এবং পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) এবার আগাম জামিনের জন্য আবেদন জানাবেন বম্বে উচ্চ আদালতে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তির আগের দিন পুনেতে একটি অনুষ্ঠান ঘিরে হিংসা ছড়ায়। হিংসার জন্য এলগার পরিষদই দায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে এ মামলায় মাওবাদী যোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুনে পুলিশ। অভিযুক্তদের তালিকায় উঠে আসে আনন্দ তেলতুম্বড়ের নাম।
আইনজীবী লারা জেসানি জানিয়েছেন, "আদালত নির্দেশ দিয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে তেলতুম্বড়েকে গ্রেফতার করা যাবে না। অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ তাঁর অধিকার খণ্ডন করেছে"। আইনজীবী জেসানি আরও জানিয়েছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি পরজন্ত তাদের কাছে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন, রাম-ভূমিকায় রাহুল; কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
শুক্রবার পুনের আদালতে আনন্দের আগাম জামিনের আবেদনের আর্জি খারিজ করে দেয়। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘‘অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি…সেজন্য , এই মুহূর্তে অভিযুক্তকে মুক্ত করা যাবে না।’’মাওবাদীদের হয়ে আনন্দ যে কাজ করত, তার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে অবশ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে আনন্দকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এর আগে এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আনন্দ। গত ১৪ জানুয়ারি আনন্দের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে নিম্ন আদালত থেকে জামিনের জন্য তাঁকে ৪ সপ্তাহ সময় দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই পুনের আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানান আনন্দ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অগাস্ট যে ৭ জন সমাজকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুনে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আনন্দ। এঁদের মধ্যে ৪ জন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত গৌতম নভলখা গ্রেফতারি এড়িয়েছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষা পেয়েছেন গৌতম। রাঁচির স্ট্যান স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত বছর জুনে আরও ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুনে পুলিশ। ওই ৫ জনও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।