অন্ধ্রপ্রদেশে দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ৪৫ জন শিক্ষক সহ মোট ৬৯ জনকে আটক করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য পেশ করেন। তিনি বলেন দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁসের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৩৬ জন সরকারি শিক্ষক সহ মোট ৪৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। ২৭ এপ্রিল শুরু হয়েছে এবং পরীক্ষা শেষ হবে ৯ মে। ৬ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুসারে ২৭ এপ্রিল পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয় তেলেগুর প্রশ্নপত্র। এরপর গণিত ও ইংরেজির প্রশ্নপত্রও ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সত্যনারায়ণ এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। তিনি বলেন, যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারের অনুমান এর পিছনে আরও অনেক শিক্ষক জড়িত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভয় ধরাচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, পজিটিভিটি রেট নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ
এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যের সবকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মীদের হলের ভিতর মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রকে ‘নো ফোন’ জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মজুত করা হয়েছে ফ্লাইং স্কোয়াডও।
এবিষয়ে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনা থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল মনে করা হয়েছিল এই ঘটনায় হলের ভিতরে কেউ জড়িত ছিলেন। সেদিনই পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেন। এবং তাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ধরণের ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হরা হয়েছে। পুলিশকে ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
ইলুরু জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দেব শর্মা বলেছেন ‘যে পুলিশ শিক্ষকদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং কিছু উত্তরপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। শ্রী সত্য সাই জেলায়, ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ’।