দীপাবলির আগেই আগাম উপহার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেমন তেমন উপহার তো মোটেই ছিল না, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাসিক আয় একধাপে অনেকটাই বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যা তিনি দীপাবলির উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এবার সেই দীপাবলির উপহারই প্রত্য়াখান করলেন আশা ও অঙ্গনওযাড়ি কর্মীরা। এমন কাণ্ড ঘটেছে খোদ রাজধানীতে। দিল্লিতে অঙ্গনওযাড়ি কর্মী ও হেল্পারদের ইউনিয়ন মোদির দীপাবলির উপহার প্রত্য়াখান করার কথা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে।
৯ দিনের মাথায় মোদির দীপাবলির উপহার ফেরানো নিয়ে নতুন করে শোরগোল পড়েছে দিল্লি দরবারে। এ প্রসঙ্গে দিল্লি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও হেল্পারদের ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট শিবানী কাউল বলেন, ''বহু বছর ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি যে, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের স্থায়ী করতে হবে। তাছাড়া ন্য়ূনতম বেতন দেওয়া হয়...আমরা এই বেতন বৃদ্ধি প্রত্য়াখান করছি...।''
আরও পড়ুন, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দীপাবলি উপহার মোদীর
অন্য়দিকে, মিড ডে মিলে খাবারের মান নিয়ে সরব হয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের একাংশ। খাবারের গুণগত মান নিয়ে অঞ্জু নামের এক কর্মী বলেন, ''খাবারের মান এতটাই খারাপ যে, আমরা ফেলে দিই অনেকসময়।'' এমনকি, সরকারি স্কুলে মিড ডে মিল পরিবেশন করা থেকে ৫-৬ জনকে ব্ল্য়াকলিস্টেড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন শিবানী কাউল।
রমা নামের আরেক কর্মী অভিযোগ করেন,''খাবারে টিকটিকি নিয়ে সুপারভাইজার আমায় মিথ্য়া কথা বলাতে চেয়েছিলেন। ওঁরা বলেছিলেন আমায় একটি চিঠিতে লিখতে বলেছিলেন যে, আমি স্বইচ্ছায় ইস্তফা দিচ্ছি। যখন আমি তা করিনি, তখন ওরা আমায় ছাঁটাই করেন।'' গত জুলাই মাসে হাস্টসাল বিহার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিল খেয়ে ১৩জন বাচ্চা হাসপাতালে ভর্তি হয়, যে ঘটনায় রমাকে ছাঁটাই করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।