Bangladeshi Hindu Attack: বাংলাদেশ হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণ, ভারতের তিরস্কারে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের মন্ত্রী, বললেন ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা...!
মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদানে পুরোপুরি ব্যর্থ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রক বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর চলমান হিংসার ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এখন এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর এএফএম খালিদ হোসেনের বক্তব্যও সামনে এসেছে। ভারতের নাম না নিয়ে তিনি গোটা বিষয়কে 'বিদেশি ষড়যন্ত্র' বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে খালিদ হোসেন বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবে। তিনি বলেন, “দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে একটি স্বার্থপর গোষ্ঠী আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছে। দেশবাসীর সহযোগিতায় সরকার সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।” বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ বসবাস করে, যেখানে সবাই তাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করছে। "সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করছে।"
ডাঃ খালিদ আরও বলেন, সরকার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনবে, সে ব্যক্তি হোক বা গোষ্ঠী। এর আগে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, “ভারত ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। আমরা এই বিষয়ে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব ঘটনাকে বানানো ঘটনা বলে দায় এড়ানো যাবে না। আমরা আবারও বলছি, বাংলাদেশ সরকারের উচিত সব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া"।