সম্প্রতি কঙ্গনা বিবাদের পর নৌসেনার এক প্রাক্তন আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে শিবসেনা কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, ওই নৌসেনা আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের একটি বিতর্কিত কার্টুন শেয়ার করেছিলেন। ওই আধিকারিককে শারীরিক হেনস্তার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ শিবসেনা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এবার প্রাক্তন এক সেনাকর্মীকে মারধরের ঘটনায় বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অনিল দেশমুখ টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, "২০১৬ সালে জলগাঁওয়ের বিজেপি সাংসদ উন্মেশ পাতিল এবং তাঁর অনুগামীরা সেনাকর্মী সোনু মহাজনের উপর হামলা চালায়। তৎকালীন বিজেপি সরকার নিগৃহীত সেনাকর্মীর সঙ্গে বিচার করেনি। আমি বহু অভিযোগ পেয়েছি এই বিষয়ে। তাই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ২০১৬ সালে সেই ঘটনা ঘটলেও তৎকালীন বিজেপি সরকারের ভয়ে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। ২০১৯ সালে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি FIR দায়ের হয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রের ফড়ণবিশ সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সাংসদ ও তাঁৎ অনুগামীদের বিরুদ্ধে।"
আরও পড়ুন ২১ সেপ্টেম্বর থেকে চলবে ২০ জোড়া ‘ক্লোন ট্রেন’, ঘোষণা রেলের
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রাক্তন সেনাকর্মী সোনু মহাজন শিরডিতে একটি সংস্থায় নিরাপত্তরক্ষীর কাজ করতেন। উন্মেষ পাতিল তখন চালিশগাঁওয়ের বিধায়ক ছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় তিনি এবং আরও আটজন অনুগামী মহাজনের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নিগ্রহ করেন। পাশাপাশি নগদ ৬০ হাজার টাকা-সহ সোনার গয়নাগাঁটি চুরির অভিযোগও ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। ওই বিজেপি বিধায়ক তথা বর্তমানে সাংসদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে মালিকের ইন্ধনে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন সোনু মহাজন।
স্থানীয় থানা সোনু মহাজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে অস্বীকার করে। এরপর বম্বে হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। ২০১৬ সালের ৩ জুন মাথায় চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু পুলিশই তাঁকে হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ ছিল, পুলিশ মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসাচ্ছে। গত বছর এপ্রিল মাসে পাতিল ও তাঁর আট অনুগামীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেইসময় কংগ্রেস তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের বিরুদ্ধে প্রাক্তন সেনাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সরব হয়েছিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন