মন্দিরের বাইরে পড়ে পশুর দেহাবশেষ, উত্তেজনা হতেই অপসারিত এসপি-জেলাশাসক

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও দুটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও দুটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kulingram-Temple

প্রতীকী ছবি।

উত্তরপ্রদেশের কনৌজে মন্দিরের বাইরে উদ্ধার হল পশুর দেহাবশেষ। যা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি অপসারণ করা হয়েছে কনৌজের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে। কানপুর রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার এই ব্যাপারে জানিয়েছেন, 'আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন। শীঘ্রই আশা করি দোষীদের গ্রেফতার করতে পারব।'

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কনৌজের রসুলাবাদ গ্রামে মন্দিরের সামনে পশুর দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় শুধুমাত্র পুলিশ সুপার, জেলাশাসকই নন। তালগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিককে পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে। আইজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, 'পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোটা এলাকায় নজরদারি চলছে।'

আরও পড়ুন- হাল ছাড়েননি যশবন্ত, এবার অসম থেকেও সমর্থনের আশ্বাস বিরোধী প্রার্থীকে

শনিবার মন্দিরের প্রবেশপথে পশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর ঘটনার প্রতিবাদে কিছু লোক গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও দুটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisment

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'অপসারিত পুলিশ সুপার রাজেশ শ্রীবাস্তবের জায়গায় নতুন পুলিশ সুপার হচ্ছেন কুমার অনুপম সিং। আর অপসারিত জেলাশাসক রাকেশ কুমারের স্থানে নতুন জেলাশাসক হতে চলেছেন শুভ্রান্ত শুক্লা। তালগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিককেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই থানার নতুন পুলিশ আধিকারিক হতে চলেছেন জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং।' পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা করে এফআইআর দায়ের হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেই সময় বেশ কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল পুলিশ। রীতিমতো সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখে শনাক্ত করা হয়েছিল অভিযুক্তদের। কনৌজে মন্দিরের সামনে পশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের ঘটনাতেও সেই একই পথ নিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা ওই মন্দিরের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Read full story in English

police Administrative Meet Yogi Government