ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি-মূর্তি বসানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফ। কিন্তু টোকিওর রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজির চিতাভস্ম দেশে ফেরানোর জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন অনিতা। এই মহান উদ্যোগের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন অনিতা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া গেটে ২৮ ফুট উচ্চতার নেতাজি-মূর্তি উন্মোচন করবেন মোদী। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেও অনুষ্ঠানে থাকছেন না সুভাষ-কন্যা। জার্মানি নিবাসী অনিতা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, "আমার বাবার স্বপ্ন ছিল স্বাধীন ভারতের। কিন্তু তাঁর অকালমৃত্যু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। আমি চাই, তাঁর চিতাভস্ম দেশের মাটি ছুঁলে অন্তত তাঁর আত্মার শান্তি হবে।"
জার্মান অর্থনীতিবিদ পাফ আরও বলেছেন, "সেই কারণে আমি ভারতের সমস্ত ডান-বাম নির্বিশেষ রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার বাবার চিতাভস্ম দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।" এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি থাকতে পারছেন না, আগেই জানিয়েছেন অনিতা পাফ। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তখনই মোদীকে রেনকোজি মন্দিরে থাকা নেতাজির চিতাভস্ম দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানাবেন অনিতা।
আরও পড়ুন ভোলবদল! নতুন মোড়কে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’, মোদীর হাত ধরে আজই শুরু ‘পথচলা’
অনিতা জানিয়েছেন, "আমি অত্যন্ত গর্বিত যে আমার বাবার মূর্তি ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উন্মোচন করবেন এবং নয়াদিল্লির গর্বের জায়গায় স্থান পাবে।" গত মাসে পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিতা জানান, তিনি জাপান এবং ভারত সরকারকে রেনকোজি মন্দিরে থাকা চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করবেন।
অনিতা বলেন, "আমি ভারতীয়দের মনে করাতে চাই, আমার বাবার চিতাভস্ম এখনও টোকিওতে রয়েছে। এবং গত ৭৭ বছরেও তা দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত হয়নি। ৭৭ বছর ধরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে বাবার শেষ স্মৃতি।" যদিও কেন্দ্রের গঠিত দুটি কমিশন শাহনওয়াজ কমিশন এবং খোসলা কমিশন তদন্ত করে জানিয়েছিল, নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি শাসনে কেন্দ্রের গঠিত মুখার্জি কমিশন অন্য কথা জানিয়েছিল। রিপোর্ট তারা বলে, নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাই রেনকোজি মন্দিরে চিতাভস্ম নেতাজির কি না তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।