অ্যাপেল সংস্থার ৩৮ বছর বয়সী আধিকারিক বিবেক তেওয়ারিকে খুন করার দায়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার দুদিন পর সোমবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন বিবেক তেওয়ারির পরিবার। পরিবারকে সকল ধরনের সহায়তা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আদিত্যনাথ। বিবেকের স্ত্রী কল্পনা এবং দুই কন্যার সঙ্গে বাসভবনেই সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
কল্পনা বলেন "আমার রাজ্য সরকারের প্রতি বিশ্বাস আছে। মূখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমার নেই। দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর, আমি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। আমার স্বামী আমার উপর যে দায়িত্ব ছেড়ে গেছেন তা পালন করতে পারব বলে আশা করছি।" বিবেকের স্ত্রী আরও বলেন, "আমি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চেয়েছিলাম, চাকরি, বাসস্থান, আমার মেয়েদের শিক্ষার জন্য খরচও চেয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমার সব দাবি মেনে সেগুলি পূরণ করেছেন।"
আরও পড়ুন: অ্যাপেলের সেলস ম্যানেজারকে গুলি, এখনও সব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না
আজকের বৈঠকে উত্তর প্রদেশের বর্তমান সরকার ২৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ এবং কল্পনার পৌরসভায় চাকরি, দুই মেয়েকে পাঁচ লাখ করে টাকা এবং অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
#WATCH: Kalpana Tiwari, wife of Vivek Tiwari who was shot dead by a police constable in Gomti Nagar area on 29 September, says after meeting CM Yogi Adityanath, "I had earlier also said that I have faith in our state government and today that faith has further strengthened" pic.twitter.com/EkloDLhfIE
— ANI UP (@ANINewsUP) October 1, 2018
শনিবার দুপুরে বছর আটত্রিশের অ্যাপল এক্সিকিউটিভকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ করা হয় পুলিশ কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এফআইআরে বিবেক তেওয়ারির সহকর্মী সানা খান, যিনি ঘটনার সময়ে বিবেকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জানিয়েছেন, "দুজন পুলিশ কর্মী বাইকে চেপে এসেছিল। আমরা ওদের এড়ানোর চেষ্টা করছিলাম, তখন ওরা আমাদের থামায়। হঠাৎ আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই…"।
আরও পড়ুন: অ্যাপেলের সেলস ম্যানেজারকে গুলি করে মারার দায়ে গ্রেফতার কনস্টেবল
রবিবার কল্পনা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন, সহকর্মী সানা পুলিশে ফোন করতে চাইলে বাধা দেওয়া হয় এবং ঘটনার সময় পুলিশ সানাকে জোর করে সাদা কাগজে সই করে দেওয়ার জন্য। মামলাকে ঘিরে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। রবিবার একটি ফরেনসিক দল ঠিক কি ঘটেছে তা পর্যবেক্ষণ করতে ঘটনাস্থলে যায় এবং এতে জড়িত দুটি গাড়িকেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হয়, বিবেকের এসইউভি এবং পুলিশের মোটর সাইকেল, আপাতত এই দুটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।