গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাপেল কোম্পানির এক কর্মচারীকে গুলি করে মারার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল সন্দীপ কুমারকে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ জামিন দিয়ে দেয় ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে।
কুমার আদালতকে জানিয়েছিলেন যে তিনি নির্দোষ। কিন্তু পুলিশ চার্জশিটে প্রাথমিকভাবে তাঁকে খুনের অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করে। পরবর্তীকালে ২২ মার্চ তাঁকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
মৃতের এক সহকর্মীর বয়ান অনুযায়ী, পুলিশ চেকপোস্টে অ্যাপেলের সেলস ম্যানেজার বিবেক তেওয়ারিকে আটকাতে না পেরে ওই কনস্টেবল তাঁকে তাড়া করে গলা লক্ষ্য করে গুলি চালান। পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিবেকের।
আরও পড়ুন: আপকামিং ফিচারে নিতে পারবেন না হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট
ঘটনাটি ঘটেছিল ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, রাত দেড়টা নাগাদ। সহকর্মী সানা খানের সঙ্গে আইফোন এক্স প্লাস লঞ্চের পর বাড়ি ফিরছিলেন বিবেক। সানা জানিয়েছেন, প্রথমবার গুলি চালানোর শব্দে তিওয়ারি ভয় পেয়ে গিয়ে চলন্ত গাড়ি নিয়ে এক আন্ডারপাসের স্তম্ভে গিয়ে ধাক্কা মারেন, যার ফলে আরও বেশি আঘাত পান তিনি।
লখনৌয়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার কলানিধি নাথানি জানান, গোমতিনগর এক্সটেনশনের এই কনস্টেবল তিওয়ারিকে চেক করার জন্য গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু থামার বদলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিবেক।
পুলিশ সূত্রে খবর, পালাতে গিয়ে পুলিশের একটি বাইকে ধাক্কা মারেন বিবেক, যে বাইকে ছিলেন কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরী ছাড়া আরও একজন পুলিশকর্মী। ঐ দ্বিতীয় কর্মী দাবি করেছেন, আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছিলেন প্রশান্ত। দ্বিতীয় পুলিশকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়। ওই দুজন সেসময় নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য তাঁদের রক্ত পরীক্ষাও করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিবেকের দেহের ময়নাতদন্ত করে জানা যায়, গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
Read the full story in English