পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলার সাত মাসের মধ্যেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে জঙ্গি কর্যকলাপ। সোমবার এমনটাই জানালেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি জানান, কেবল জঙ্গি ঘাঁটি সক্রিয় হওয়াই নয়, বালাকোট থেকে প্রায় পাঁচশোর অনুপ্রবেশকারী ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করতে উদ্যত হয়েছে, এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন- তিহার জেলে গিয়ে চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাৎ সোনিয়া, মনমোহনের
চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সেনা প্রধান বলেন, "পাকিস্তান ফের বালাকোটকে সক্রিয় করে তুলছে। বালাকোট হামলার পর সেখানকার জায়গা যে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল এটা তারই প্রমাণ। সেই কারণেই ওখানকার মানুষজন সব পালিয়ে গিয়েছিল এবং বালাকোট এখন ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে।" প্রসঙ্গত, ভারতে পুলওয়ামা হামলার পরই ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মনসেরা জেলায় অবস্থিত বালাকোটে বিমানহানায় জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই হামলায় সেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহু সংখ্যক জঙ্গিদের ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছিল বলেও জানায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা বিলোপে সন্ত্রাসীদের সমর্থনকারীরা সমস্যার সম্মুখীন, হাওডি-তে বললেন মোদী
উল্লেখ্য, জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরটি প্রায় ৬ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত ছিল। প্রায় ৬০০ জন জঙ্গি সেখানে প্রশিক্ষণ নিত বলেও খবর। গোয়েন্দা কর্তাদের মতে, বিমান হামলার সময় বালাকোটে জঙ্গি নিয়োগের শেষ ধাপের কাজ চলায় জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আবদুল রাউফ আসগরও সেখানে উপস্থিত ছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিমান হামলার পরই পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি ঘাঁটির পাঁচ থেকে ছ'টি 'মিন পয়েন্ট অফ ইম্প্যাক্ট' এর ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য দায়ী নেহরু: অমিত শাহ
আগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরের থেকে ৩৭০ ধারা রদ করার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের পারদ ফের বহুগুণ চড়েছে। মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরের 'বিশেষ রাজ্যের' মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাকিস্তান। এমনকী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতেও আবেদন জানানো হয়। যদিও দিল্লি সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে দেশের 'আভ্যন্তরীণ বিষয়' আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। তবে কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখেই সাত মাসের মধ্যে ফের সেই ঘাঁটিগুলিকে সক্রিয় তুলেছে জঙ্গিরা। আর এতে পাকিস্তানের মদত রয়েছে বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।