কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা অপসারণ এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার এক বছর পর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস রাজুর মতে, এখন উপত্যকার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। উদ্বেগের অবসান হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত জম্মু-কাশ্মীরেও ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা জারি করতে উদ্যগী হয়েছে। গ্রাম, ব্লক এবং জেলা স্তর থাকবে উপত্যকতাতেও। পঞ্চায়েতি রাজ অ্যাক্ট ১৯৮৯ -এর পরিবর্তনকে সম্মতি দেওয়ার একদিন আগেই সাংবাদিকের কর্নেল বিএস রাজু একথা জানান। তিনি বলেন, "আমরা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা করা হয়েছে সুরক্ষার নিম্মস্তর থেকেই। অতিরিক্ত সেনা থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন পরিচালন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সব ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে।"
তবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, "অনুপ্রবেশ বন্ধে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি"। অনুপ্রবেশকারীরা এই বাধা অতিক্রম করতে পারছে না। তবে তারা জানিয়েছে "প্রবেশ না করতে পারলেও" চাপ দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে কর্নেল রাজু বলেন, "আমরা হিংসার মাত্রাকে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সাধারণ মানুষ এখন স্বাভাবিক জীবনে কাজ করতে পারছেন। সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যাও যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।”
আরও পড়ুন, “চিন সীমান্তে শান্তি ফেরাতে চায় ভারত”, সুকনায় শস্ত্রপুজোর পর বললেন রাজনাথ
কর্নেল এও জানান যে চলতি বছরের শুরু দিকে এ এলাকায় ২৬০ এর বেশি জঙ্গি থাকলেও তা এখন কমে ২০০ হয়েছে। এর কারণ হিসেবে সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার এক যোগে হয়ে কাজ করার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
সেনাবাহিনী যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা গিয়েছে উপত্যকায় ২০৭ সক্রিয় জঙ্গিদের মধ্যে ১১ জন সেই এলাকার আর ৯০ জন পাকিস্তানের। অঞ্চলভিত্তিক তথ্য থেকে জানা যায় উত্তর কাশ্মীরে ২২ জন স্থানীয় জঙ্গি আর ৬৫ জন পাকিস্তানে। অন্যদিকে দক্ষিণ কাশ্মীরে ৯৫ জনই স্থানীয় এবং ২৫ জন সীমান্ত এলাকার। উত্তর কাশ্মীরে সম্প্রতি ২৪ জন যুবক যোগদান করেছে জঙ্গিগোষ্ঠীতে, দক্ষিণণে সেই সংখ্যা ১০৭। লস্কর-ই-তৈবা, হিজাবুল মুজাহিদিন, জৈশ-এ মহম্মদ, আল-বদরের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীতে বেশ অনেকজন যুবক যোগ দিয়েছে। যদিও এর সংখ্যা আগের থেকে কম।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন