যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও বেশি দক্ষতা সম্পন্ন, সেনা আধিকারিক নিযুক্ত করার কথা ভাবছে ভারতীয় সেনা। সেই লক্ষ্যে ফরওয়ার্ড ইউনিটের জন্য আধিকারিকের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদিত করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা এবং কার্যকারিতা তদারকির জন্য সেনা উপপ্রধানের পদ গঠনের প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে কেন্দ্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
পুলওয়ামা-বালাকোট-এর রেশ না কাটতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ২২৯ জন সেনা আধিকারিককে যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য বেছে নেওয়া হবে। এরা সবাই আপাতত সেনাবাহিনীর সদর দফতরের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। জানা গিয়েছে সদর দফতরে বহাল থাকা সেনা আধিকারিকদের যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়, সেই দাবি দীর্ঘ দিনের।
সেনাবাহিনিতে আধিকারিকদের দায়িত্বের পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হয়েছিল বেশ কিছু মাস আগের এক সমীক্ষা থেকেই। প্রায় ৯ মাস পর পদক্ষেপ নেওয়া হল।
আরও পড়ুন, রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকাতেই হাফিজ সইদ, খারিজ আবেদন
সূত্রের খবর বলছে যুদ্ধক্ষেত্রের দায়িত্বে যত জন আধিকারিক থাকা দরকার, তার ৫০ শতাংশ রয়েছে এই মুহূর্তে।
ভারতীয় সেনার এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "সেনার সদর দফতরে কর্নেল র্যাঙ্কের ১০০০ থেকে ১১০০ জন আধিকারিক রয়েছেন আপাতত। এদের মধ্যে ২০ শতাংশকে ফিল্ড পোস্টিং দেওয়া হবে। যুদ্ধের সময় এরাই সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেবেন"।
এর আগেও সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত সেনাবাহিনীর দক্ষতা, এবং পারদর্শিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতেন। এক আধিকারিক জানালেন, এই সংক্রান্ত সমীক্ষা আয়োজনের পেছনেও রাওয়াতের হাত ছিল। প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর দক্ষতা সংক্রান্ত সমীক্ষা প্রথম শুরু করেছিলেন জেনারেল কৃষ্ণ রাও, ১৯৭৫ সালে।
Read the full story in English