জিএসটি-র ১২ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের ট্য়াক্সের দুটি ধাপ মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে। কার্যত জিএসটি তাহলে দু ধাপের কর ব্য়বস্থায় পরিণত হবে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ কথা বলেছেন।
জিএসটি-র দ্বিতীয় বছরে এক ফেসবুক পোস্টে জেটলি বলেছেন, অন্তত ২০টি রাজ্যে দেখা যাচ্ছে ১৪ শতাংশ আয়বৃদ্ধি ঘটেছে। এর ফলে জিএসটি প্রয়োগের জন্য় ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই রাজ্য়গুলিকে আর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দরকার হবে কেন্দ্রের।
আরও পড়ুন, কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিপাকে নবীন জিন্দল
জেটলি লিখেছেন উপভোক্তারা যে সব পণ্য় ব্য়বহার করেন তার অধিকাংশই ১৮ শতাংশ, ১২ শতাংশ ও ৫ শতাংশ জিএসটি স্ল্য়াবের মধ্য়ে পড়ে। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অরুণ জেটলি লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন দ্বিতীয় মোদী সরকারের দায়িত্বে আর থাকতে চান না তিনি।
জেটলি বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জিএসটি কাউন্সিল গত ২ বছরে ট্য়াক্সের পরিমাণ কমিয়েছে যার ফলে আয়ে ঘাটতি হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
হঠাৎ সমস্ত ধরনের পণ্য়ে করের হার কমিয়ে দিলে সরকারের আয় ব্য়াপক কমে যেতে পারে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে জেটলি বলেছেন, আয় বাড়লে ধীরে ধীরে করের হার কমানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন, মমতা সরকারকে কড়া নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
২০১৭-১৮-র জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গড়ে প্রতি মাসে আয় হয়েছে ৮৯,৭০০ কোটি টাকা করে। পরের বছরে আয়ের পরিমাণ প্রায় দশ শতাংশ বেড়ে হয়েছে মাসিক ৯৭, ১০০ কোটি টাকা।
জেটলি বলেছেন একটি স্ল্য়াবে জিএসটি সম্ভব কেবলমাত্র ধনী দেশগুলিতে, যেখানে কোনও দরিদ্র মানুষ নেই। যেখানে একটা বড় অংশের মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে, তেমন দেশে করের একটি হার নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য় করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি চালু হয়েছিল। এখন জিএসটিতে চারটি স্ল্য়াব রয়েছে, ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ। ২৮ শতাংশের স্ল্য়াবে রয়েছে গাড়ি, বিলাসদ্রব্য় প্রভৃতি, যাতে একটি সেস লাগু হয়ে থাকে।