বৈঠকের টেবিলে আলাপ-আলোচনায় সুরাহার আলো মিলেছে। ভারত ও চিন, দু'পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সেনা মোতায়েন না করার বিষয়ে একমত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী আছে, বারবার কথার খেলাপ করেছে চিন। তাই দ্রুত সীমান্ত বিবাদের সমাধানের আশায় শীতের আগে বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে ভারত। এই মুহূর্তে ভারত-চিন উভয় পক্ষই লাদাখ সীমান্তে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। সেইসঙ্গে রয়েছে ট্যাঙ্ক, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। তবে সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে দুই শিবিরের গতিবিধির উপর ভিত্তি করে।
তবে লাদাখে হাড় কাঁপানো শীতের জেরে উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে সেনা নিচে নামিয়ে আনতে পারে ভারত ও চিন। সেক্ষেত্রে সেনার সংখ্যা কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রের এক শীর্ষ আধিকারিক, লালফৌজের সেনার অবস্থান দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সেনা। তবে এখন জল মাপছে ভারতীয় সেনা। তবে তিনি এটাও বলেছেন, প্যাংগং সো-র উত্তর ভাগে চিনা সেনার অবস্থান অনেকটাই বিস্তৃত। সেই জায়গা গুলি উদ্ধার করতে হলে ভারতীয় সেনাকে অনেকটাই এগোতে হবে।
আরও পড়ুন রাতের অন্ধকারে কাশ্মীর সীমান্তে পাক অনুপ্রবেশের ছক! ভেস্তে দিল BSF
শীতের কথা ভেবে চিনও ঘাঁটি শক্ত করছে। তার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির জন্য অপটিক্যাল ফাইবার পেতেছে লালফৌজ। বোঝাই যাচ্ছে, গোটা শীতের মরশুমের জন্য রণনীতি সাজাচ্ছে চিন। প্যাংগং সো-র উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর অবস্থানের মধ্যে কয়েকশো মিটারের ব্যবধান রয়েছে। ভারতীয় সেনা চুসুল এলাকায় উঁচু পাহাড়ের দখল নিতেই চিনা সেনা সেগুলি পুনরায় কবজা করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিফল হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোতে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং উইয়ের সমঝোতা বৈঠকের আগে লাদাখে দুই পক্ষের মধ্যে ১০০-২০০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ও হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন