সংবাদ স্বাধীনতার সূচকে আরও নীচে ভারত। চলতি বছরের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক অনুযায়ী গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫০। ২০২১-এ সংবাদ স্বাধীনতার সূচকে ১৪২তম স্থানে ছিল ভারত। অর্থাৎ, গত এক বছরে দেশের সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা দানে ভারত আরও আট ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মোদী সরকারের আমলে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের কণ্ঠরোধ হচ্ছে বলে সোচ্চার তৃণমূল।
‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০২২ সালের রিপোর্ট ও সূচক প্রকাশিত হয়েছে। এই সংগঠনের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সংবাদিকদের উপর হিংসা ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর ঘটনা বেড়েছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ, এই প্রবণতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, যে ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে। করোনাকালে ভারত সরকারের দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে একাধিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য না মেলার কারণেও সাংবাদিকদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
এদিকে, মোদী সরকারের আমলে সাংবাদমাধমের স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে ভারত আরও আট ধাপ নেমে যাওয়ায় কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। মোদী সরকারে তুলোধনা করে ময়দানে তৃণমূল।
বাংলার শাসকদলের তরফে টুইটে কেন্দ্রের সমালোচনায় লেখা হয়েছে, ''#NewIndia থেকে সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী ভারতের র্যাঙ্কিং আট ধাপ নেমে গিয়েছে। ২০২১-এ ১৪২তম স্থানে ছিল ভারত। ২০২২-এ সেই স্থান আট ধাপ নেমে ২৫০। মিস্টার নরেন্দ্র মোদী এতে আমরা বিস্মিত হইনি। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ তো বরাবরই আপনার নিশানায় ছিল, তাই নয় কি?''
আরও পড়ুন- বিধানসভার শুনানিতে নেই, অথচ তৃণমূল কার্যালয়ের উদ্বোধনে মুকুল, ছবি দিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, ''গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে টার্গেট করা বন্ধ করুন, মিঃ নরেন্দ্র মোদী। এটা সত্যিই আন্তর্জাতিক লজ্জার বিষয় যে ভারত এখন বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম সূচকে ১৫০তম স্থানে নেমে গিয়েছে। বিজেপির দুঃশাসনের অধীনে আরও অন্ধকার দিন আসছে…।''