প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের জেরে হিংসাত্মক ঘটনায় প্রায় ১৫০-র বেশি পুলিশকর্মী ঘায়েল হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ২ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের জেরে রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় রাজধানী। উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে। তবে পাল্টা দিয়েছে কৃষকরাও। বিক্ষোভরত কৃষকরা পুলিশের উপর লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লালকেল্লার সামনে প্রচুর পুলিশকর্মী উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে কেল্লার উঁচু পাঁচিল থেকে লাফিয়ে পালাচ্ছেন। বেশ কিছু পুলিশকে মারধর করে কৃষকরা। পুলিশকে তাড়াও করে লাঠি-সোটা নিয়ে। এই ঘটনায় বেশ কিছু পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ও সুশ্রুত ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। আইটিও ও নাংগ্লোই এলাকাতেও কৃষকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে বহু পুলিশকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন দিল্লিতে কৃষকদের উস্কানির পিছনে সানি দেওলের ঘনিষ্ঠ অভিনেতা!
এদিকে, মঙ্গলবার দিল্লির বুকে হিংসাত্মক ট্রাক্টর মার্চে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। ২৭ বছরের নবরীত সিংয়ের তরতাজা প্রাণ গিয়েছে হিংসাত্মক আন্দোলনে। সদ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছিলেন তিনি। পড়াশোনার জন্যই বিদেশে গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, তিনি যে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছেন একথা জানতই না তাঁর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, রামপুর জেলার বহু কৃষক দিল্লিতে এসেছিলেন বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য। ওই জেলারই ডিবডিবা গ্রামের বাসিন্দা নবরীত তিন দিন আগে বিক্ষোভে যোগ দেন। গতকাল দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের সময় আইটিও-র কাছে উল্টে যায় তাঁর ট্রাক্টর। তাতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় নবরীতের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন