Advertisment

ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অপমানে আত্মঘাতী যুবক!

বুধবার মহম্মদ মুজামিল নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে ভাইরাল ভিডিওর হাত রয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
delhi, দিল্লি

বড়সড় ধাক্কা খেল ভাইরাল ভিডিওর দুনিয়া। বছর উনত্রিশের এক যুবকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। মারধর করার সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়। পরে তা সোশাল দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যার জেরে অপমানে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল দিল্লিতে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সরাই রোহিল্লা স্টেশনের কাছে। ওই স্টেশনের কাছ থেকে বুধবার মহম্মদ মুজামিল নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে ভাইরাল ভিডিওর হাত রয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই যুবকে নিয়ে বানানো তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ওই যুবককে মারধর করার ছবি দেখা গিয়েছে। যার জেরেই ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে রেলের ডিসিপি ডি কে গুপ্তা বলেন, "এটি আত্মহত্যার ঘটনা। আইনি ভাবে এ ঘটনার অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যুবককে মারধর করার ভিডিওটি নিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।"

এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আরটিভি (রাফ টেরেইন ভেহিক্যাল) কনডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন মুবারকপুরের বাসিন্দা মুজামিল। গত ১৫ অক্টোবর এক মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যে ঘটনার জেরে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন যায় তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই মুজামিলকে হেফাজতে নিয়ে ওই আরটিভি পাঞ্জাবি বাগ পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির পাঁচতারা হোটেলের বাইরে বন্দুকধারী!

মুজামিলের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বৈঠক করা হবে বলে মুজামিলকে ডেকে পাঠান এক কর্মী। তারপরই তাঁকে মারধর করা হয়। মারধরের সময় অন্যরা ভিডিও তুলছিলেন। এ প্রসঙ্গে মুজামিলের বোন সাইমার অভিযোগ, "লাঠি দিয়ে আমার ভাইকে মারধর করা হয়। ওরা তার ভিডিও তোলে...ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দেখে উনি এতটাই অপমানিত হন যে, শেষ পর্যন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।"

ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক কোণে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুজামিল। আরটিভি কোথায় রয়েছে এ কথা গাড়ির মালিক তাঁকে জিজ্ঞেস করছেন। এরপরই মুজামিলকে লাঠি দিয়ে মারছেন ওই ব্যক্তি। মারের চোটে লাঠি ভেঙে যাওয়ায়, আরেকটা লাঠি চাইছেন গাড়ি মালিক। অন্যদিকে, সাইমার অভিযোগ, "বেশ কিছুক্ষণ ধরে মারধর চলছিল। আমার ভাই ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু ওরা শোনে নি।"

এদিকে, স্থানীয় থানা মুজামিলকে মারধরের অভিযোগ নেয়নি বলেও সরব হয়েছেন মুজামিলের পরিবার। যদিও ডিসিপি সেজু পি কুরুভিল্লা জানিয়েছেন যে, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Read the full story here in English

national news
Advertisment