কেরলের কোভালামে পুলিশ অতি-সক্রিয়তা। মদ নিয়ে হেনস্তার জেরে নিগৃহীত বিদেশি পর্যটক। বর্ষবরণের রাতে সুইডিশ পর্যটকের সঙ্গে অভব্যতার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মদের বিল দেখতে চেয়েছিল পুলিশ, তা দেখাতে না পারায় রাস্তার ধারে মদের বোতল খালি করে দেন স্টিভেন নামে ওই পর্যটক। ঘটনা জানাজানি হতেই সাসপেন্ড করা হয় ওই পুলিশ অফিসারকে।
জানা গিয়েছে, কোভালামের সৈকতের কাছে স্টিভেনকে আটকায় পুলিশ। ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁর কাছে মদের বিল দেখতে চান। সরকারি মদের দোকান থেকে কিনলেও তার বিল দেখাতে পারেননি স্টিভেন। বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে দু-তিনটি মদের বোতল খালি করে দেন তিনি।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই কেরলের পর্যটন মন্ত্রী পি এ মহম্মদ রিয়াস পুলিশের অতি-সক্রিয়তা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এরপরই অভিযুক্ত সাব-ইনস্পেক্টর শাজিকে সাসপেন্ড করা হয়। মন্ত্রী বলেছেন, "পুলিশের অতি-সক্রিয়তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যখন সরকার আরও বেশি করে বিদেশি পর্যটকদের অতিমারির পর রাজ্যে আকর্ষণ করছে, তখন সরকারের নীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছে পুলিশ। এই ধরনের অতি-সক্রিয়তা হলে রাজ্যের পর্যটন শিল্প মার খাবে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনা হয়েছে।"
আরও পড়ুন আফগানিস্থানকে সহায়তা ভারতের, পাঠানো হল ৫ লক্ষ কোভ্যাক্সিন ডোজ
উল্লেখ্য, ডিজিপি অনিল কান্তের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়ার পরই সাব ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়। জানা গিয়েছে, তিন বোতল মদ কিনেছিলেন স্টিভেন। প্রসঙ্গত, কেরলের রাজ্য সরকারি মদের দোকান বেভকো আউটলেট থেকে কোনও ব্যক্তি সর্বাধিক তিন লিটার মদ কিনতে পারেন। শুক্রবার স্টিভেন কোভালামের কাছে মদের দোকান থেকে তিনটি বোতল কিনেছিলেন। কিন্তু বর্ষবরণ উপলক্ষে এলাকায় চেকিংয়ের সময় স্টিভেনকে ধরে পুলিশ।
পুলিশের গাড়ি আটকায় স্টিভেনের স্কুটার। তাঁর ব্যাগে মদ পায় পুলিশ। তার বিল চাইলে তা দেখাতে পারেননি স্টিভেন। তখন মদ রেখে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু রাগে মদের বোতলগুলি রাস্তার ধারে খালি করে চলে যান তিনি। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক সাংবাদিক। তিনি ঘটনার ভিডিও করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের তীব্র নিন্দা করেন নেটিজেনরা। বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "এই ঘটনা প্রমাণ করছে পুলিশের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে। এটাও বোঝা যাচ্ছে, সিপিএমের স্থানীয় নেতারা থানায় পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে।"