বিএসএফে কর্মরত এক কনস্টেবলকে বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছে আসামের ফরেনার্স ট্রাইবুনালে। তিনি পাঞ্জাবে কর্মরত রয়েছেন। বছর পঞ্চাশেকের মজিবুর রহমান নামের ওই ব্যক্তিকে গত ডিসেম্বরে বিদেশি ঘোষণা করা হয়। তবে তাঁর পরিবার এ ব্যাপারে জানতে পেরেছেন গত সপ্তাহেই। এনআরসি আপডেট নিয়ে এক শুনানি চলাকালীন এ কথা জানতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন, Assam NRC Final List Live Updates: আজ আসামের অগ্নিপরীক্ষা, একটু পরেই প্রকাশিত হচ্ছে এনআরসি
২০০৮ সালে রহমানের নাম বিদেশি ট্রাইবুনালে ওঠে। স্থানীয় নির্বাচন পঞ্জী দফতরের আধিকারিকের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে নাম যায় ট্রাইবুনালে। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছিলেন আসাম পুলিশের সীমান্ত বাহিনীর সুপারিনটেনড্যান্টও।
আরও পড়ুন, Assam NRC Final List 2019: অসম এনআরসি: কীভাবে দেখবেন নামের তালিকা? জেনে নিন
গত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮-য় গোলাঘাট জেলা ফরেনার্স ট্রাইবুনালের একটি এক পাক্ষিক নির্দেশে রহমান, তাঁর স্ত্রী জাগরিনা বেগম ও আরও ২৬ জনকে বিদেশি ঘোষণা করা হয়। নিয়মানুসারে কেউ বিদেশি ঘোষিত হলে, তিনি বা তাঁর উত্তরসূরী কেউ এনআরসি তালিকায় থাকবেন না। আগামী ৩১ অগাস্ট এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হতে চলেছে।
বিদেশি আইনের ৯ নং ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনে কেউ বিদেশি কিনা তা প্রমাণ করার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর বর্তায়। ফরেনার্স ট্রাইবুনালের সদস্যরা একপাক্ষিকভাবে কাউকে বিদেশি ঘোষণা করার অধিকারী।
আরও পড়ুন, ফরেনার্স ট্রাইবুনাল কী ভাবে কাজ করে
এন এন ঝা যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও মজিবর রহমান এবং অন্যান্যরা শুনানিতে আসেননি এবং তাঁদের বক্তব্য নথিবদ্ধ করেননি। উপায়ান্তর না দেথে একপাক্ষির নির্দেশ দিতে তিনি বাধ্য হন বলে নির্দেশে জানিয়েছেন এন এন ঝা।
রহমানের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, তিনি ১৯৮৭-৯৯ সালে বিএসএফে যোগ দেন। এ সপ্তাহে গৌহাটি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করেছে রহমানের পরিবার।
Read the Full Story in English