দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে। বাংলা, কেরালা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ বন্ধ বলে ঘোষণা করেছে। বিতর্কের মাঝেই গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ডিটেনশন ক্যাম্পের এক বন্দির মৃত্যু হল। দশ দিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি মৃত্যি সংখ্যা পৌঁছাল ২৯শে। গোটা রাজ্যে প্রায় হাজার জন আসামের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি।
আরও পড়ুন: ‘আমি যতদিন জীবিত আছি, বাংলায় সিএএ-ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না’
এর আগে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে মানসিক ভাবে অসুস্থ দুলাল পালের মৃ্ত্যুর ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। মৃত্যুর পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও তাঁর পরিবারের লোকজন মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন। দুলাল পাল নামের ওই ব্যক্তিকে বেআইনি বিদেশিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর থেকে তেজপুরের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল দুলাল পালকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে অসুস্থতার জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। দুলাল পালের আত্মীয়রা বাংলাদেশের বেআইনি বিদেশির মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে বলেন, 'এই মৃতদেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে সে দেশেই পাঠিয়ে দেওয়া হোক।'
বর্তমানে আসামে ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। এগুলি জেলা সংশোধনাগারের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকটিতেই প্রায় হাজার জন করে থাকতে পারেন। গোয়ালপাড়ায় সপ্তম ডিটেনশন ক্যাম্পটি নির্মিয়মান অবস্থায় রয়েছে। আসাম সরকারের দাবি অনুশারে, ফরেন ট্রাইবুইবুনালে যে ২৪ জনকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গন্য করা হয়েছে গত তিন বছরে তাদেরই মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনআরসি-তে আছি, সিএএ-তে নেই, উত্তরবঙ্গের পথে কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি
গত জুলাইতে আসামের পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বিধানসভায় বলেছিলেন রাজ্যের ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৭জনের। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ছিল ১ এবং ৪। অসুস্থতার কারণেই এই মৃত্যু বলে সরকারি তথ্যে প্রকাশ।
বিধানসভার রিপোর্ট অনুশারে মৃতদের মধ্যে মাত্র ২ জনের ঠিকানা বাংলাদেশের। বাকিদের বাড়ির ঠিকানা আসামেরই। রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বলেছিলেন, 'ক্যাম্পে আটক অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাদের। কোনও মৃতদেহই বাংলাদেশে পাঠান হয়নি।'
Read the full story in English